কলকাতায় আজকের আবহাওয়া (Weather): একটি নিম্নচাপ কাটতে না কাটতেই ফের নতুন নিম্নচাপ ঘনাচ্ছে। কম-বেশি এদিনও মেঘলা আকাশ মহানগরে। কিন্তু নতুন নিম্নচাপের জের ঠিক কতটা এবার কলকাতায়? কী বলছে পারদের ওঠানামা? মহানগরে (Kolkata)আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল (minimum temperature) ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কিনা স্বাভাবিক। গত কাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা পরিমাণ ছিল ৮১ শতাংশ। গত কাল সকাল সাড়ে আটটা থেকে আজ সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় কোনও বৃষ্টি হয়নি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামিকাল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,সর্বোচ্চ ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকার কথা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। 
  এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের পর ফের দানা বাঁধতে শুরু করেছে আরও একটি নিম্নচাপ। তার জেরে আগামিকাল ও পরশু, অর্থাৎ বৃহস্পতি ও শুক্রবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস। তবে একই সঙ্গে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় আজ আংশিক মেঘলা আকাশ। বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
এর পর কি বর্ষার প্রথম ২ মাসের যে ঘাটতি হয়েছে তা মিটবে না বলেই মনে করছেন আবহবিদরা।


বঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather): জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। যার ফলে চাষের উপরেও প্রভাব পড়েছে। তবে এই সপ্তাহের গোড়া থেকেই ছবিটা খানিক বদলাচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা। সব মিলিয়ে কি মহানগরের বৃষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে এই মরসুমে? সংশয় থাকছে।


ভৌগোলিক অবস্থান (Kolkata Geographical Situation): হুগলি নদীর পূর্ব তীর ও বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী। ভারতের বড় শহরের তালিকায় অন্যতম এই মহানগর। দেশের অন্যতম বড় বন্দরও বটে। গোটা পূর্বভারতের শহরকেন্দ্রিক কার্যকলাপের অন্যতম প্রধান জায়গা কলকাতা। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর সর্বোচ্চ উচ্চতা ৯ মিটার। 


আপেক্ষিক জলবায়ু: মহানগরের জলবায়ু অনেকটা উপক্রান্তীয় অঞ্চলের মতো। মোটের উপর বছরভরই উষ্ণ থাকে এখানে। গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করে। বছরে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১ হাজার ৬২৫ মিলিমিটার যার বেশিরভাগই জুন থেকে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বর্ষার মরসুমে দেখা যায়। এই সময়টাই বাতাসে আর্দ্রতা সবচেয়ে বেশি থাকে। অক্টোবর ও নভেম্বরে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসে।


আরও পড়ুন:প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা নেই, রাতের অন্ধকারে মাটি চুরি খোদ তৃণমূল নেতার! অভিযোগ ঘিরে তপ্ত মালদা