পশ্চিম বর্ধমান: কুলটিতে ইসিএলের খনিতে দুর্ঘটনা, ২জনের মৃত্যু (Kulti ECL Accident)। যন্ত্রাংশ মেরামতির সময় দুর্ঘটনা, বেসরকারি সংস্থার ২ কর্মীর মৃত্যু। ছিটকে ২ হাজার ২০০ ফুট নিচে পড়ে আরও একজন নিখোঁজ।
কখনও পর্যাপ্ত স্ট্রেচার থাকে না, কখনও হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি
খনিতে চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। বরাবরই প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই শ্রমিকরা কাজ করেন। কখনও পর্যাপ্ত স্ট্রেচার থাকে না। অনেক সময় উদ্ধার করা হলেও হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হওয়ার ফলে মৃত্যু হয় আহত শ্রমিকদের। খনি শ্রমিকদের অভিযোগ থাকে, ইসিএল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্যেই বারবার এই দুর্ঘটনা ঘটে। বহুবার শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন ইসিএল আধিকারিকরা। যদিও অন্য যুক্তি দিলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা মেনে নিতে নারাজ খনি শ্রমিকরা।
কয়লা তুলতে গিয়ে পাথর চাপা পড়ে মৃত্যু
অনেকসময়ই কয়লা খনির মুখ খোলা থাকে। সাধারণ মানুষ কিংবা শিশুরা তা ঠাহর করতে পারেন না। যার দরুণ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ছাড়া আর কিছুই অপেক্ষা করে না। এদিকে বিষয়টি কেন নজর দেওয়া হয় না, প্রশ্ন উঠেছিল গত বছরই। তেইশের অক্টোবরে ঘটে গিয়েছিল আরও এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। খনির মুখ খোলা থাকায় বুঝতে না পেরে নিজের অজান্তেই, কয়লা তুলতে গিয়ে পাথর চাপা পড়ে মারা যায়। এখানেই শেষ নয় ওই বছরই একই সময় বেআইনিভাবে খোলা মুখওয়ালা খনির থেকে কয়লা তুলতে গিয়ে মৃত্যু হয় তিনজন শ্রমিকের।
আরও পড়ুন, 'নদীতে নামতে নিষেধ..', কুমিরের আতঙ্ক মানিকচকের গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায়
তবে ১৯৮৯ সালে সিনিয়র অফিসারই এসেছিলেন ত্রাতা হয়ে, বাঁচিয়েছিলেন সবাইকে
তবে সবসময় যে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় শ্রমিকদের তা কিন্তু নয়। কখনও কখনও ত্রাতা হয়ে আসেন বড় হৃদয়ের মানুষ।যারা নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাকিদের বের করেন খনি থেকে। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী ১৯৮৯। সে এক ভয়াবহ রাত। এরাজ্যের রানিগঞ্জের কয়লাখনিতে সেবার আটকে পড়েছিল বহু মানুষ। ত্রাতার রূপে এসেছিলেন যশবন্ত সিং গিল। যিনি ওই রাতে বহু শ্রমিকের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। সিনিয়র অফিসার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন যশোবন্ত সিংহ।অনেকেই তাঁকে ভিতরে ঢুকতে বারণ করেছিল। কিন্তু তিনি কারও কথাতেই কানে দেননি। নিজের ঝুঁকি নিয়েই বাকিদের বাঁচিয়েছিলেন। ১৯৩৭ সালে পঞ্জাবের অমৃতসরে তার জন্ম। আর তাঁকে ঘিরেই ছবি তৈরি করে বলিউড। নাম 'মিশন রানিগঞ্জ।'