কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে আর বাড়ি ফেরা হয়নি। মায়ের কোল হয়েছে খালি। এমন একাধিক ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। আর এবার আরও একবার মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল পশ্চিম বর্ধমান জেলা। জন্মদিন পালন করতে এসে মাইথন ড্যামের বরাকর নদে ডুবে মৃত্যু হল তিনজনের।
ঠিক কী হয়েছিল ?
বুধবার বিকেলে ছয় ছাত্র ধানবাদ থেকে আসে ড্যাম 'সংলগ্ন বরাকর নদে পিকনিক করতে। বড় বড় পাথর আর গভীর জল রয়েছে মাইথনেরই ঝাড়খণ্ডের 'তিনডাবর' নামক ওই পিকনিক স্পটে। তিন ডাবর এলাকাটি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার আওতায় মাইথন থানার অন্তর্গত। বুধবার তিনজন ডুবে যায় বাকি তিনজন পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে দুজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ডুবে যাওয়া পড়ুয়ারা হল তাইয়াব, জায়েদ হোসেন এবং যুবরাজ সিং। এদের বাড়ি ধানবাদ জেলার ওয়াসেপুরে। মাইথন প্রশাসন এবং স্থানীয়রা মিলে উদ্ধার কার্য চালাচ্ছে। দুজনে দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।
বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে না ফেরার দেশে
প্রসঙ্গত, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে বাড়ি না ফেরার ভুরিভুরি উদাহরণ রয়েছে এরাজ্যে। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডে দুই বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে বাড়ি ফেরা হয়নি যাদবপুরের অধ্যাপকের। হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল রক্তাক্ত দেহ। একুশ সালে বন্ধুদের সঙ্গে দীঘা ঘুরতে গিয়ে আর ফেরেননি নদিয়ার যুবক। এরপর উড়িশ্যার উদয়পুর ঘাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল যুবকের দেহ।
ফিরল কফিনবন্দি হয়ে
চলতি বছরের গোড়ার দিকে, জন্মদিনে অনেক আনন্দের পর আর ফেরেননি বঙ্গসন্তান। পূর্ব মেদিনীপুরের ওই যুবক, মূলত আমেরিকায় ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। মা-বাবার খুশির অন্ত ছিল না। কিন্তু আচমকাই পরিবারে নেমে আসে ঘন কালো নিকশ অন্ধকার। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই বাড়িতে ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু শেষঅবধি বাড়িতে ফিরল বটে, কিন্তু কফিনবন্দি হয়ে।
আরও পড়ুন, সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চায় কিনা, স্পষ্ট জানাক সিপিএম : কুণাল ঘোষ
আরও একটি ঘটনা বাইশ সালের। এই ঘটনাটাও ঘুরতে গিয়ে চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার। হাসপাতালে গিয়ে সন্তানের মুখখানি তো দেখলেন বটে। কিন্তু বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল না আর। হাসপাতাল স্থানান্তরিত করার সময়ই তাঁর মৃত্যু ঘটে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।