কলকাতা: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে হাইকোর্টের রক্ষাকবচ। আদালত জানাল, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার আগে নিতে হবে হাইকোর্টের অনুমতি। অধীরের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ৪৮ ঘণ্টা আগে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। (Adhir Chowdhury)


পশ্চিমবঙ্গে 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'র সময় রাহুল গাঁধীর কনভয়ে গাড়ির কাচ ভাঙার ঘটনায় কংগ্রেস কর্মীদের উত্তেজিত করার অভিযোগ ওঠে অধীরের বিরুদ্ধে। অধীরের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করে উত্তেজনায় ইন্ধন জগানোর অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। যদিও অধীরের আইনজীবী পাল্টা অভিযোগ করেন যে, রাজ্যের বাইরের ঘটনায় মিথ্যে অভিযোগে হেনস্থা করতে চাইছে পুলিশ। (Calcutta High Court)


গত ৩১ জানুয়ারি মালদার হরিশচন্দ্রপুরে রাহুলের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'। সেখানে রাহুলের পাশেই ছিলেন অধীর। অভিযোগ ওঠে, ভিড়ের চাপে রাহুলের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। সেই সময় অধীর কিছু এমন মন্তব্য করেন, যাতে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি চরমে ওঠে, যা থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত বলে দাবি ওঠে। 


আরও পড়ুন: BJP Mla in TMC Rally: মমতার মিছিলে বিজেপি বিধায়ক! এবার পদ্ম-শিবির ভাঙাল ঘাসফুল


ওই ঘটনায় অধীরের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়। পুলিশের তরফে নোটিস জারিও করা হয়, যার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অধীর। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে এদিন অধীরকে রক্ষাকবচ দিল আদালত। 


বিহার হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছিল রাহুলের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'। ঢিল মেরে রাহুলের গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে কংগ্রেসের তরফে। কে বা কারা ঢিল মেরেছে, তা যদিও স্পষ্ট হয়নি। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে সরাসরি জবাব না দিলেও,  অধীরের বক্তব্য ছিল, "বুঝে নিন কারা হামলা চালিয়েছে। আমরা জানি অতিথি ভগবানের সমান। কিন্তু বাংলার রাহুলকে ঢোকার পর থেকেই বাধা দেওয়া হচ্ছে।"


অধীর কারও নাম না করলেও, তিনি তৃণমূলকে নিশানা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি ছিল, রাহুলের কাচ পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে ভাঙেনি, বিহারে ভাঙা হয়েছিল গাড়ি। এর পর কংগ্রেসের তরফেও জানানো হয় যে, বিহারেই কাচ ভাঙএ রাহুলের গাড়ি। তাহলে অধীর কেন উস্কানিমূলক মন্তব্য করছিলেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। দায়ের হয় মামলা।