কলকাতা: ঢিলেমির জায়গা নেই। সময় থাকতে সজাগ হোন। রাজ্যে করোনা-সংক্রমণের (covid19) হুড়মুড়িয়ে বাড়তে থাকা হার দেখে সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের। সরকারি তথ্য় অনুযায়ী, শেষ চব্বিশ ঘণ্টায় এ রাজ্যে নতুন কোভিড পজিটিভের (Coronavirus Updates) সংখ্য়া ২৯৫, মারা গিয়েছেন ২ জন। পজিটিভিটি রেট ৪.৮৫ শতাংশ। 


বাড়ছে ভয়:


আপাতভাবে সংখ্যাটা বেশি নাও মনে হতে পারে।  কিন্তু একবার সার্বিক দেশের পরিসংখ্য়ানের সঙ্গে তুলনা করে দেখা যাক? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বুধবার যে তথ্য দিয়েছে, তাতে শেষ চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-পজিটিভিটি রেট ছিল ৩.৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ পজিটিভিটি রেটের বিচারে বাংলার অবস্থা  দেশের গড়ের থেকেও খারাপ। 


পরিস্থিতি যে খারাপ হতে চলেছে, সেই আঁচ গত কয়েক দিন ধরেই মিলছিল। দেশের বাকি অংশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছিল বাংলায়। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার। এর মধ্যে নতুন ভ্যারিয়্য়ান্টের হদিস মেলে রাজ্য়ে। খোঁজ মেলেছে ওমিক্রন BA.4 এবং BA.5-এর মিশ্র প্রজাতির। তখন থেকেই জল্পনা তুঙ্গে, তবে কি এই নতুন প্রজাতির হাত ধরেই রাজ্যে ফোর্থ ওয়েভ আসছে?  আশঙ্কা যে পুরোপুরি অমূলক নয়, সে কথা তখনই বলেছিলেন ডাক্তাররা।  সংক্রমণের বাড়বৃদ্ধি দেখে এবার অনেকেরই আশঙ্কা, পূর্বাভাস মিলে যাবে না তো?


শিকেয় কোভিড বিধি:


কিন্তু এর পরও কোভিড-বিধি (covid19 protocol) নিয়ে বেশিরভাগেরই কোনও পরোয়া নেই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মাস্কের ব্যবহার প্রায় উঠে গিয়েছে, স্য়ানিটাইজার বা হাত ধোয়ার মতো নিয়মবিধিও এখন তাকে তোলা। তা ছাড়া ফিজিকাল ডিসট্যান্সিং বা শারীরিক দূরত্ববিধিই বা মানছেন কজন? সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে অনীহা চরমে। সব মিলিয়ে ফের পোয়াবারো করোনার। কিন্তু মূল প্রশ্ন অন্যত্র। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউয়ের সময় যা ঘটেছিল, তা কি এর মধ্যেই ভুলে যাওয়া যায়? যদি তা না হয় সেক্ষেত্রে এমন বেপরোয়া মনোভাব কেন?চিন্তায় অনেকে। 


 


আরও পড়ুন: মালদহের হাসপাতালের 'মেঝেতে রোগীরা', কাঠগড়ায় তৃণমূল বিধায়ক