কলকাতা:  অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইন্দ্রিয় চোখ। অত্যন্ত সংবেদনশীল এই অঙ্গ প্রতিদিনের কাজে ব্যবহার হলেও আমরা হয়তো প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিই না এটিকে।


এখন কাজ থেকে পড়াশোনা- সব সময়েই স্ক্রিন টাইম। মোবাইল বা ল্যাপটপে দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। অবসর সময়েও একই কারণে চোখের উপর চাপ পড়ে। এছাড়া দূষণ, UV রশ্মি, অ্যালার্জির মতো কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় চোখ। স্ট্রেস  ও রাতজাগার কারণে অনেকের পর্যাপ্ত ঘুমও হয় না। সেই কারণেও চাপ পড়ে চোখের উপর। এতকিছুর পরেও চোখের সামান্য খেয়ালও আমরা অনেকেই রাখি না। এটি এমন একটি ইন্দ্রিয় যার ক্ষতি হলে সেটা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা খুবই কঠিন। সেই কারণে গোড়া থেকেই প্রয়োজন যত্ন।


চোখের কোল ফুলে যাওয়া (Swollen Under Eyes), ডার্ক সার্কেল (Dark Circle)-এর মতো একাধিক উপসর্গ আদতে চোখের সমস্য়াকেই ইঙ্গিত করে। চোখকে আরাম দিতে বাড়িতেই বেশ কিছু তৈরি করে ব্যবহার করা যায়।


ঠান্ডা দুধের যত্ন:
এর আসল নাম কোল্ড মিল্ক (Cold Milk) আই মাস্ক। প্রথমে তুলোর আই প্যাড নিতে হবে। তারপর সেটিতে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা দুধ দিয়ে ভিজিয়ে নিতে হবে। তারপর ওই দুটি প্যাড দিয়ে চোখের উপর রেখে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করুন। চোখের চারপাশের আর্দ্রতা ফেরাতে ও ডার্ক সার্কেল কমাতে এর জুড়ি নেই।


শশা-পুদিনার যুগলবন্দি:
শসা ও পুদিনা-দুটিরই কুলিং এফেক্ট রয়েছে। একটি বাটিতে পুদিনার (Mint) রস ও শশার টুকরো রাখুন। সেটিতে তুলোর আই প্যাড ভিজিয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা করে চোখ ও চারপাশে রাখতে পারেন। আই প্যাড না থাকলে অল্প তুলো ভিজিয়ে সেটা চোখের চারপাশে লাগাতে পারেন।


গোলাপজলের গুণ:
সৌন্দর্যচর্চায় প্রসাধনী হিসেবে ব্যবহৃত হয় গোলাপজল (Rosewater)। এটি ঠান্ডা করে তুলো ভিজিয়ে চোখের উপর মিনিট পনেরো রাখা যায়। ঠান্ডা করে দেয় চোখের চারপাশ, ভীষণ আরামও পাওয়া যায়। 


চোখ ভাল রাখতে বেশ কিছু পোষক পদার্থেরও দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
সেগুলি কী কী:
ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ওমেগা থ্রি


এই পুষ্টিপদার্থের প্রতিটি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন। চোখ ভাল রাখতে গেলে যে যে খাবারে এই পুষ্টিপদার্থ রয়েছে, সেগুলি নিয়মিত খেতেই হবে। আর যেকোনও অসুবিধায় দেরি না করে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


আরও পড়ুন: পঁয়তাল্লিশের পর পুরুষদের যে স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো অবশ্যই করানো দরকার