কলকাতা: হঠাৎই অসুস্থ রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।
জানা গিয়েছে, প্রবল ডিহাইড্রেশনের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ। মঙ্গলবারই তাঁকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত পুরমন্ত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে। (Firhad Hakim)


রোজকার মতো মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্যস্ত ছিলেন ফিরহাদ। পৌরসভায় গিয়েছিলেন যেমন, তেমনই নারদ মামলায় হাজিরা দিতে আদালেতেও গিয়েছিলেন। তার পর নবান্নে গিয়ে আবারও পৌরসভায় ফিরে আসেন। এর পরই অস্বস্তি বোধ করতে থাকেন ফিরহাদ। বিষয়টি জানাতেই তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। আপাতত অবস্থা স্থিতিশীল হলেও, চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। (Kolkata News)


এর আগে, জানুয়ারি মাসেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ফিরহাদ। আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লেন ফিরহাদ। নয় নয় করে বয়স ৬৫ হয়ে গিয়েছে। তাই প্রিয় নেতার বার বার এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিন্তিত তাঁর অনুগামীরা। যদিও হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ফিরহাদের অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই আপাতত। তার পরেও যদিও উদ্বেগ কাটেনি। 


আরও পড়ুন: Tarapith Marriage : শাঁখা-পলা-সিঁদুর নিয়ে হাজির হলেই হবে না বিয়ে ! তারাপীঠে বিয়ে করতে গেলে এই নিয়মের নড়চড় হবে না


এই নিয়ে ২০২৪ সালে পর পর দুটি মাসে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা। জানুয়ারি মাসেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বারবার এই অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিন্তিত তাঁর অনুগামী থেকে দলের অন্যান্য নেতা–কর্মীরা। তবে চিকিৎসকরা সব পরীক্ষা করে দেখছেন বলে খবর। এখনই এতটা উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে হাসপাতাল জানিয়েছে।


নারদ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ED-র মামলার শুনানিতে এদিনই CBI-এর বিশেষ আদালতে হাজির হন ফিরহাদ। আদালতে হাজির হন শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ও। CBI-যে মামলার চার্জশিট দিয়েছিল, পরে সেই কেসের তদন্তভার নিয়ে মামলা দায়ের করে ED-ও। আগের শুনানিতে অভিযুক্তের তরফে বেশ কিছু নথিসংক্রান্ত আবেদন করা হয়েছিল, তার বিরোধিতা করে হাইকোর্টে যায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।


এদিন CBI-এর বিশেষ আদালত জানায়, উচ্চ আদালতের নির্দেশগুলি দেখা হচ্ছে। ফিরহাদের আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত জানান, ফিরাদ হাকিম, শোভন চট্টপাধ্যায় প্রাক্তন আইপিএস এস এম এইচ মির্জা এসেছিলেন নারদ মামলায় ED কেসে। আগামী ১০ জুন পরবর্তী শুনানি। এদিন আদালত থেকে ফিরেও রোজকার মতো কাজ করছিলেন ফিরহাদ। তার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন।