শিবাশিস মৌলিক এবং সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: লোকসভা ভোটে তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়েছে শহুরে ভোটারদের একটা বড় অংশ। পুরসভাভিত্তিক ফলাফলে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এবার সেটাকেই মূলধন করে রণকৌশল সাজাচ্ছে গেরুয়া শিবির। বিদ্যুতের বিল, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার মতো ইস্যু নিয়ে শহরের ভোটারদের কাছে পৌঁছচ্ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। 


২০১৯-এর লোকসভায় ভাল ফলের পর, ২১-এর বিধানসভায় ২০০ আসন টার্গেট করে থামতে হয়েছে সত্তরের ঘরে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে ৩০ আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নামলেও শেষপর্যন্ত ১২ আসন দখল করতে পেরেছে তারা। 


এবার বছর দুয়েকের মধ্যে বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে এবার  শহরের ভোটারদের বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। লোকসভা ভোটে রাজ্যে দারুণ ফল করলেও, পুর এলাকাগুলিতে ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটের পুরসভাভিত্তিক ফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে,  রাজ্যের ১২১টি পুরসভার ৭৪টিতে ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলাফলের নিরিখে ১ নম্বরে রয়েছে বিজেপি। সেখানে ৪১টি পুরসভায় এক নম্বরে রয়েছে তৃণমূল। এছাড়া ৩টি পুর এলাকায় ওয়ার্ডভিত্তিক ফলে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। ৩টি পুরসভা টাই অবস্থায় রয়েছে। আর এই প্রেক্ষাপটে শহুরে ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিতে চলেছে গেরুয়া শিবির।                                                         


আরও পড়ুন, খুন, ডাকাতি থেকে হুমকি, বিহারে জেলে বসেই বাংলায় অপরাধের ব্লু-প্রিন্ট! কুখ্যাত 'জুয়েল থিফ' CID-এর জালে


তার মধ্যে রয়েছে শহরের বিভিন্ন আবাসনে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার ওপর জোর এবং বিদ্যুতের মাশুল। দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় বিদ্যুতের মাশুল অত্যন্ত বেশি, বরাবরই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করে থাকে বিরোধীরা। এই অবস্থায় বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি তুলে চলতি সপ্তাহেই CESC-এর সদর দফতরে অভিযান চালাবে গেরুয়া শিবির।


এছাড়াও  একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা। এই পরিস্থিতিতে শহরের আবাসনগুলিতে ঘুরে ঘুরে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার খবর নেবে বিজেপি। ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভার ভোট। সেই বছরই পুরসভার ভোটও হওয়ার কথা। তার আগে কি শহুরে ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে পারবে বিজেপি? উত্তর মিলবে ভবিষ্যতে। 


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে