কলকাতা: উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ওবেসিটি এবং হার্টের সমস্যা। ইদানিং যে যে রোগ নিয়ে ভোগান্তি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি সেগুলির মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে এগুলি। ডায়েট, অনিয়মিত জীবনযাপন, অত্যধিক স্ট্রেস--সবকিছু মিলিয়েই বাড়ছে হার্টের সমস্যা। একবার এই অসুখ ধরা পড়লে তারপর নিয়মের বেড়াজালে বন্দি হয়ে যায় জীবন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, প্রথম থেকেই খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি যদি নিয়মিত ব্যায়ামও করা যায়, তাহলে দূরে রাখা যায় এই রোগগুলি। 


হাঁটা (Walking)
অত্যন্ত উপযোগী এই অভ্যেস। তবে ধীরে-সুস্থে হাঁটা নয়। দ্রুতগতিতে হাঁটা। হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রতিদিন হাঁটার অভ্যেস অত্যন্ত কার্যকর। পালস বিট বৃদ্ধি করে, গাঁটের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে।


ওয়েট ট্রেনিং (Weight Training)
ওয়েট ট্রেনিং একটি বিশেষ ধরনের শরীরচর্চার পদ্ধতি। পেশি (Muscle) বৃদ্ধি করতে এই ধরনের শরীরচর্চা করা হয়। দ্রুত ফ্যাট কমায় ওয়েট ট্রেনিং। হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে এবং পরামর্শমতো করা প্রয়োজন।


সাঁতার (Swimming)
পুরো শরীরের জন্য় উপকারী সাঁতার। গাঁটের ব্যথা থেকে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা। কিংবা ঠান্ডা লাগার ধাত, সবকিছুর জন্যই  উপকারী সাঁতার। তার সঙ্গেই হৃদযন্ত্রের জন্যও খুবই উপকারী সাঁতারের অভ্যাস। 


যোগব্যায়াম (Yoga)
দীর্ঘদিন সুস্থ থাকার জন্য ভরসা হতে পারে যোগব্যায়াম। বিশেষ করে হার্টের সমস্যা দূরে রাখতে যোগাভ্যাস ভীষণই কার্যকরী। পেশির শক্তিবৃদ্ধি থেকে স্বাভাবিক রক্তচাপ, সবকিছুর পিছনেই যোগব্যায়ামের অবদান রয়েছে।


সাইক্লিং (Cycling)
এটিও অত্যন্ত উপকারী শরীরচর্চার পদ্ধতি। সাইকেল চালানোর মাধ্যমেই শরীর সুস্থ রাখা যায়। হার্টের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। স্বল্প দূরত্বের পথ পেরোতে সাইকেল ব্যবহার করা যায়, তাতে কাজের সঙ্গে সঙ্গে শরীরচর্চাও হয়। 


অ্যারোবিক
ইদানিং একাধিক আধুনিক শরীরচর্চার পদ্ধতি ব্যবহার হয়। তার মধ্যে অন্যতম অ্যারোবিকস। নির্দিষ্ট ছন্দে তাল মিলিয়ে একের পর এক স্ট্রেচিং ও বিভিন্ন ধরনের ফ্রি হ্যান্ড (free hand exercise) করা হয় এর মাধ্যমে। ফিটনেস বৃদ্ধি করতে এবং Cardiovascular condition বাড়াতে এর জুড়ি নেই।


এ ছাড়াও ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং (interval training), কোর ওয়ার্কআউট (core workout), তাই চি (tai chi)-এমন একাধিক ধরনের শরীরচর্চার পদ্ধতি রয়েছে যা আদতে হৃদযন্ত্রকে ভাল রাখতে সাহায্য় করে।  


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: গরমে বিপদ! সুস্থ রাখবে খেজুর-দই, সঙ্গী পর্যাপ্ত জল