সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঢুকে পড়বে বর্ষা। আগামী দু তিন দিনের মধ্যে বর্ষা ঢুকে পড়বে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে। আন্দামানে আগে ঢুকলেও দেশের মূল ভূখণ্ডে বর্ষা ঢুকতে পথে হবে দেরি।
বঙ্গে বর্ষা কবে?
দিল্লির মৌসম ভবন এক এক জায়গায় বর্ষা ঢোকার ২৫ বছরের গড় ধরে একটি নির্ধারিত দিন ঠিক করে। সেই হিসেব অনুযায়ী আবহাওয়া দফতরে ক্যালেন্ডারে আন্দামানে মৌসুমী বায়ু ঢোকার নির্ধারিত দিন ২২ মে। এরপর ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলে বর্ষা ঢোকার নির্ধারিত দিন ১ জুন। উত্তরবঙ্গে ৭ জুন প্রথম জলপাইগুড়ি জেলায় প্রবেশ করে বর্ষা। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ নির্ধারিত দক্ষিণবঙ্গে জন্য। কলকাতায় বর্ষা প্রবেশের নির্ধারিত তারিখ ১১ জুন। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কিছু অংশে ঢুকতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে বর্ষা দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কিছু অংশে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে নির্ধারিত সময়ের অন্তত দুদিন আগে বর্ষা প্রবেশ করার প্রবল সম্ভাবনা ভারতবর্ষের এই দ্বীপপুঞ্জে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কেরলে বর্ষা আসতে এবার একটু দেরি হতে পারে। নির্ধারিত ১ জুনের পরিবর্তে অন্তত ৪ জুন বর্ষা ঢুকতে পারে। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দিল্লিতে বর্ষা প্রবেশের নির্ধারিত দিন ২৭শে জুন। পুরীতে বর্ষা প্রবেশ করে ১৩ জুন আর বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করে কলকাতার সঙ্গে একইদিন ১১ জুন।
রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস: এদিকে কাল থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যে। শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা। বিহার থেকে ওড়িশা পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। এই অক্ষরেখার টানে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে বাংলায়। এর প্রভাবেই দক্ষিণবঙ্গে শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই শনিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি এবং হালকা ঝড়ের পূর্বাভাস। দার্জিলিং ও কালিম্পং এ বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ারের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। উত্তরবঙ্গের আট জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে হালকা ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাতের আশঙ্কা। কলকাতায় আজ আংশিক মেঘলা আকাশ। আজ সকাল থেকে দিনভর গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় রইল। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।.
আরও পড়ুন: Causes of Sweating: গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘামতে শুরু করি কেন, এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণ কী ?