কলকাতা: কলকাতায় সকাল থেকেই একটা ভ্যাপসা গরম পরিস্থিতি রয়েছে। তবে তার মধ্যেই সুখবর শোনালেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই নামবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি।
সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে (Weather Forecast)। বাকি জেলাগুলিতেও হবে। অর্থাৎ হাওয়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনায় হবে। সকাল থেকে অবশ্য বীরভূম, মুর্শিদাবাদে অনেকটাই হয়েছে। মালদা, দিনাজপুরে ইতিমধ্যেই অ্যাকটিভিটি চলছে। মালদা এবং দুই দিনাজপুরেও প্রথম দুই দিন ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।বিশেষ করে ৫ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপমাত্রার খুব একটা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না। তবে দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে অস্বস্তির মাত্রা বাড়বে। আদ্রতা বৃদ্ধির দরুণ অস্বস্তি বাড়বে।'
কলকাতায় আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। তাপমাত্রার হেরফেরে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্সকরা। কাশি হলে কমতে সময় লেগে যাচ্ছে অনেক দিন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
দক্ষিণ যখন ভিজছে, তার আগে থেকেই বর্ষার দাপট বেড়েছে উত্তরে। উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েকদিন অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতে । উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। ১০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। প্রবল বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় দার্জিলিং ও কালিম্পং এর বেশ কিছু এলাকায় ল্যান্ড স্লাইড বা ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। জলস্তর বাড়বে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকার মতো নদীগুলিতে।