সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: সকাল থেকেই অস্বস্তির পরিমাণ ক্রমশ তীব্রতর হয়েছে এদিন। ভ্যাপসা গরমে থমথমে পরিবেশ। আর তারই মাঝেই বার্তা দিলেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Sanjib Banerjee)।


ভ্যাপসা গরম থেকে কবে মুক্তি পাবে দক্ষিণবঙ্গ ?


আবহাওয়া দফতরের তরফে তিনি জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গে যে বৃষ্টি হচ্ছে, তাও ধারাবাহিকভাবে হবে আরও ৩ থেকে ৪ দিন। উত্তরবঙ্গের (North Bengal) উপরের যে ৫ টি জেলা, সেখানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে সব জেলাতেই। কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকছে। বাকি তিনটি জেলা মূলত মালদা এবং দুই দিনাজপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) ব্রজবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনও কিছু নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি।



কী কী সতর্কতা হাওয়া অফিসের ?


আবহাওয়া দফতরের তরফে আরও জানানো হয়েছে, প্রথম দুই দিন উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে ক্ষেত্রে তাপমাত্রার খুব একটা বদল নেই। দুদিনের পর থেকে তাপমাত্রার একটু পতন হবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ থেক ৩ ডিগ্রি কমবে। বাকি দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে দিনের বেলায়, অস্বস্তি বজায় থাকবে, ঘাম ঝরবে। তবে এই মুহূর্তে তীব্র অস্বস্তি দক্ষিণবঙ্গে থাকলেও, ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। তবে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ থেকে সতর্ক থাকতে বলেছে হাওয়া অফিস। কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে একটু কম থাকবে বলেই পূর্বাভাস।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


পাহাড়ে মনোরম পরিবেশ, ঘাম ঝরছে দক্ষিণবঙ্গবাসীর


প্রসঙ্গত, বঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করলেও বেলা পেরোলেই জেরবার হচ্ছে বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গবাসী। এদিকে একদিকে যখন অবিরাম ধারা বয়ে চলেছে পাহাড়ে, ঠিক তখনই দক্ষিণবঙ্গে ঘামে ভিজে যাওয়া-আসা অফিস যাত্রীদের। মূলত প্রায় প্রত্যেকদিনই আকাশ মেঘলা থাকছে। যার ফলে সন্ধ্যা নামলেও লীনতাপ থেকে পুরো মুক্তি মিলছে না। প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসছে বঙ্গের মাটিতে। যদিও এর অন্যতম এক কারণ মাটির অন্দরে থাকা কার্বোনেট যৌগ। এবং বর্তমানে বায়ু দূষণ। বিশেষজ্ঞদের মতে এই দূষণও অনেকক্ষেত্রে আবহাওয়ার উপর প্রভাব ফেলছে। তবে একটাই কথা মানুষের মুখে মুখে ফিরছে, আর কত অপেক্ষা, কবে যাবে এই ভ্যাপসা গরম ? আর এমনই এক পরিস্থিতিতে বার্তা দিল আবহাওয়া দফতর।