মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: বৃষ্টিতে স্বস্তি মিললেও, বিপত্তি এড়ানো গেল না। মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রাঘাতে (lightning) একজনের মৃত্যু হয়েছে লাউদোহাতে। হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাকে মৃত (Dead) বলে ঘোষণা করেন।
তীব্র গরমের পর আচমকায় শনিবার দুপুর থেকে খনি অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। আকাশের কালো মেঘ আসতেই শুরু হয় বজ্রপাত। ঠিক সেই সময় দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের গোগলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রসিক ডাঙ্গা গ্রামের সোনা রুইদাস নামে বছর ৬০ এর এক ব্যক্তি মাঠ থেকে গরু আনতে যান। ঠিক সেই সময়ে ঘটে বিপত্তি।
মাঠে গরু আনতে গিয়েই আচমকা বজ্রাঘাতে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রথমে লাউদোহার স্বাস্থ্য কেন্দ্র তারপর দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের গোগলা গ্রাম পঞ্চায়েতের রসিকডাঙ্গার সোনা রুইদাস নামে ওই মৃত ব্যক্তির ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৬০ বছর।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছিল খাস কলকাতাতেই। কলকাতায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ২ জনের। সূত্রের খবর ধাপার মাঠে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ২ মহিলার । স্বস্তির বৃষ্টি এলেও বেঘোরে প্রাণ গিয়েছিল দুই মহিলার। উল্লেখ্য, সকালে বৃষ্টি হলেও, বেলা বাড়তেই গুমোট গরম। বর্ষা বঙ্গে পা রাখলেও, পিছু ছাড়ছে না অস্বস্তি। এরই মধ্যে আশার খবর শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বুধবার দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকার সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েকদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হলেও, পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
দক্ষিণবঙ্গে কবে পা রাখবে বর্ষা? একেবারে পঞ্জিকা মেনে আষাঢ়স্য দিবসে সেই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তার আগে শনিবার সকাল থেকেই ছিল আকাশের মুখ ভার। কোথাও কোথাও হালকা, ঝিরঝিরে বৃষ্টিও হয়েছে। যদিও তারপরও ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। অন্যদিকে, বৃষ্টিতে ভিজছে উত্তরবঙ্গ। সেখানে আগেই পা রেখেছে বর্ষা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। রবিবার থেকে প্রাক্ বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের ওপরের পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আর বাকি তিন জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও।