কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: শর্ট সার্কিটের জেরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড রানিগঞ্জে (Raniganj)। রানিগঞ্জের বোরো দপ্তর লাগোয়া এলাকায় মিউনিসিপাল মার্কেটে এক কাপড়ের দোকান লাগোয়া যন্ত্রাংশের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের (Fire Incident) ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। তবে দমকলের ইঞ্জিন শেষ অবধি আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।


দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আধ ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়দের ও দমকল বিভাগের দাবি, শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুন লেগে ঘটেছে বিপত্তি। এদিন প্রথমে স্থানীয় পথচারী রাজীব ভট্টাচার্য বিষয়টি লক্ষ্য করে পুলিশ প্রশাসনকে খবর দেন। পুলিশ দমকল বিভাগে খবর দেওয়ার পরে, দমকলের একটি ইঞ্জিন আধ ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। স্থানীয়দের দাবি, লাগোয়া এলাকায় বেশ কিছু দোকানপাট রয়েছে, যা এই আগুনের জেরে ভয়াবহ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। পুলিশ ও দমকলের তৎপরতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে এলাকাবাসী। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে ওই যন্ত্রাংশের দোকান, আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। গভীর রাতে লাগা এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।


প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে আলিপুরদুয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয় ৪টি দোকান । আগুন লাগার পর পর্যাপ্ত দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে না পৌছতে পারায় আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে যায়। এদিকে যতক্ষণে দমকলের গাড়ি ঢোকে, ততক্ষণে প্রায় দোকানগুলির অধিকাংশ অংশ পুড়ে গিয়েছে। যদিও শেষ অবধি আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।  ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের ১ নং ব্লকের তপসীখাতা বাজারে। গোটা ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সূত্রের পাওয়া খবর অনুযায়ী,  রাত ১০ টার দিকে তপসীখাতার বাজারে আচমকাই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এরপর স্থানীয় গ্রামবাসীরা খবর দেয় আলিপুরদুয়ার দমকল বিভাগে।


আরও পড়ুন, 'এটা উত্তরপ্রদেশ নয়, বাংলায় অপরাধের তদন্ত হয়', শ্যুটআউটকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া ফিরহাদের


অভিযোগ, দমকল বিভাগের তৎপরতা না থাকায় জানানো হয় আলিপুরদুয়ার থানায়।গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রায় ৮ কিমি দূরত্বে ঘটনাস্থল হওয়া সত্ত্বেও আলিপুরদুয়ার দমকল বিভাগের একটি ইঞ্জিন নিয়ে কর্মীরা প্রায় ৪০ মিনিট দেরি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারপর, প্রায় দেড় ঘন্টার প্রচেষ্টায়  আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তবে এখনও পর্যন্ত চারটি দোকান ভষ্মীভূত হয়েছে বলে স্থানীয়সূত্রে খবর। তবে সঠিক সময় দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছলে দোকান চারটি ভস্মীভূতের হাত থেকে বাঁচানো যেত বলে ধারণা স্থানীয়দের।