মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: কয়লা চুরির অভিযোগে গ্রেফতার খোদ খনি কর্মী! কয়লা চুরির অভিযোগে গ্রেফতার ওই কর্মী সহ আরও দুই জন। এমনকী আটক কয়লা-সহ ট্রাকও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অন্ডাল। ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার জামবাদ খোলামুখ খনি থেকে কয়লা চুরি করতে গিয়েই হাতেনাতে পাকড়াও হন এই বেসরকারি খোলা মুখ খনির উচ্চপদস্ত কর্মী।


ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সোমবার রাত্রি দু'টো নাগাদ জামবাদখোলামুখ খনিতে কয়লা চুরির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অন্ডাল থানার পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আটক করে রাম সিং ও উত্তম স্বর্ণকার নামে দুই ব্যক্তিকে। ধৃত রাম সিং ওই খনিরই উচ্চপদস্ত কর্মী বলে সংস্থা সূত্রে জানা গেছে। 


ওই বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকেই সংস্থার সাইডিং ইনচার্জ উজ্জ্বল দাস কয়লা চুরি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অন্ডাল থানায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংস্থার এক আধিকারিক জানান, " রাত্রি দেড়টা- দুটো নাগাদ প্যাচের ভিতর একটি ট্রাকে কয়লা লোড করতে দেখে সন্দেহ হয় । খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।পুলিশ এসে দুই ব্যক্তিসহ কয়লা বোঝাই ট্রাকটি আটক করে।  ট্রাকটি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৭ মেট্রিক টন কয়লা। মঙ্গলবার ধৃত দু'জনকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। আদালত ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশও দিয়েছে। 


আরও পড়ুন, নেশার ঘোরে 'ভুল কোপ', ছাগের বদলে হাড়িকাঠে মানুষের মুণ্ডুপাত


এদিকে, পশ্চিম বর্ধমানেই করোনার টিকা (COVID-19 Vaccine) নেওয়া ঘিরে প্রাথমিক ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই (Health Centre) চরম বিশৃঙ্খলা ধরা পড়ল পানাগড়ে (Panagarh)। সকাল থেকে সেখানে টিকা নিতে লাইন দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু বেলা বাড়তে স্বাস্থ্যকেন্দ্রেরই অন্য জায়গায় টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়। তাতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। শেষে পুলিশ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয় প্রশাসনকে।


মঙ্গলবার সকাল থেকে করোনার দ্বিতীয় টিকা নিতে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের যে অংশে টিকা দেওয়ার কথা ছিল, তার সামনে গা ঘেঁষে লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করেন তাঁরা। কিন্তু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তরফে মাইকে ঘোষণা করা হয় যে, দ্বিতীয় টিকা অন্য বিভাগ থেকে নিতে হবে।