খড়গপুর : ফের দিলীপ ঘোষ থাকাকালীন খড়গপুরে বিজেপিতে ভাঙন। তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি যুব মোর্চার প্রায় ২০০ জন সদস্য। গতকাল খড়গপুর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোটের প্রচার করছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেইসময় ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের যোগদান মেলায় হাজির হন বিজেপি যুব মোর্চার সদস্যরা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার উপস্থিতিতে তাঁরা শাসকদলে নাম লেখান।


বিজেপিত্যাগীদের দাবি, বিপদে পাশে দাঁড়ানোয় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত। তৃণমূল নেতৃত্বের কটাক্ষ, দিলীপ ঘোষ খড়গপুরে এলেই দল ছাড়বেন বিজেপি কর্মীর। বিজেপি সাংসদের পাল্টা দাবি, পুলিশের ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে দলবদল করাচ্ছে তৃণমূল।


গতমাসের শেষের দিকে দিলীপ ঘোষ শহরে থাকাকালীন অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ সভাপতি। তার আগেই খড়গপুর শহরে দলের নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।


আরও পড়ুন ; ফের ভাঙন পদ্মে, দিলীপ ঘোষ খড়গপুরে থাকাকালীন তৃণমূলে যোগ বিজেপির বুথ সভাপতির


বিজেপিত্যাগী নেতার দাবি, বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় ও সাংসদ দিলীপ ঘোষের মধ্যে তালমিল না থাকায়, নাগরিকরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই বিজেপি ত্যাগ, দাবি করেন তৃণমূলে যোগদানকারী নেতা। 


এদিকে দিলীপ ঘোষ খড়গপুর এলেই বিজেপি ফাঁকা হয়ে যাবে। নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করে লাভ নেই, কটাক্ষ তৃণমূল নেতৃত্বের। বিজেপি নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। এর আগে ১৯ জানুয়ারি, খড়গপুরে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপি যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি-সহ বেশ কয়েকজন কর্মী, সমর্থক।


সম্প্রতি বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে ছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বিগত সাত বছরে খড়্গপুরে কোনও উন্নয়ন হয়নি দাবি করে হিরণ বলেন, ‘‘খড়্গপুর আজ শ্মশানে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালে রোগী গেলে তিনি আর বেঁচে ফেরেন না। সাত বছর আগে খড়্গপুরের মানুষ খুব ভুল করেছেন।’’ প্রাক্তন বিধায়ককে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, ‘‘উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী টাকা পাঠিয়েছেন। সেই টাকা মুখ্যমন্ত্রীও দিয়েছেন পুরসভাকে। কিন্তু উনি সব টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ওই টাকা দিয়ে নিজের বাড়ি বানিয়েছেন। সব টাকা উদ্ধার করব।’’