উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও সোমনাথ দাস, ঘাটাল: জলবন্দি ঘাটালের পাশে থাকার বার্তা দিলেন স্থানীয় সাংসদ দেব। জলে ডুবে মৃত শিশুর পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন সাংসদ। স্পিডবোটে পরিদর্শন করেন জলবন্দি এলাকা।


বৃহস্পতিবার জলে ডুবে মৃত্যু হয়, ঘাটালের গম্ভীরনগরের ৬ বছরের এক শিশুর। সেই থেকে গোটা বাড়িজুড়ে শুধুই হাহাকার। শোকে পাথর হয়ে যাওয়া পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন স্থানীয় সাংসদ দেব। 


পরিবারের হাতে সরকারি সাহায্য তুলে দেন তিনি। বললেন, "এই পরিবার যা হারিয়েছে তার কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না। বাচ্চারা জলে ডুবে গেছে। এদের কাছে কীসের পুজো।"


দুর্ভোগের মধ্যেও তারকা-সাংসদকে দেখতে ঘাটালে উপচে পড়ে ভিড়। অতি উৎসাহীরা ডিঙি নিয়ে অপেক্ষা করেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ঘাটালের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন তৃণমূল সাংসদ।


বৃষ্টি থামলেও, জল নামছে না ঘাটালে। ঘাটাল শহরের অধিকাংশ এলাকাই জলের তলায়। একদিকে, পানীয় জলের অভাব। অন্যদিকে মিলছে না খাবার। তার জেরে দুর্ভোগ বাড়ছে ঘাটালবাসীর। জল জমতেই ফের ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি।


সেই অগাস্ট মাস থেকে প্রকৃতির সঙ্গে লড়ছেন ঘাটালবাসী। মঙ্গলবার দুপুর থেকে শিলাবতী আর ঝুমির জল ফের তাঁদের কার্যত পথে বসিয়েছে। বৃষ্টি থামলেও, ঘাটাল পুরসভার ১৭টির মধ্যে ১২টি ওয়ার্ড এখনও জলের তলায়।


ঘাটাল শহর লাগোয়া পঞ্চায়েত এলাকার অবস্থা আরও খারাপ। এমনকী ঘাটাল থানাতেও ঢুকেছে জল। দুর্যোগের ধাক্কায় দিনের পর দিন নেই বিদ্যুৎ। 


তার উপর নলকূপ সব ডুবে যাওয়ায় ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। ত্রাণ নিয়েও উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। বানভাসি ঘাটালের যোগাযোগ ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে নৌকার উপর। অনেকের বাড়িতেই স্থায়ীভাবে কেনা আছে নৌকা। 


ঘাটাল ডুবলেই ঘুরে ফিরে আসে মাস্টার প্ল্যানের কথা। বহু চর্চিত মাস্টার প্ল্যান নিয়ে ফের তরজায় জড়িয়েছে তৃণমূল-বিজেপি। সাংসদ দেব বলেন, কিছুদিন আগেও দিল্লিতে দরবার করতে গেছিলাম। কিছুই তো হল না। প্রতি বছর বন্যা হয় আর মানুষের ক্ষতি হয়। 


আরও পড়ুন: পুজোর মুখে ফের জলমগ্ন ঘাটাল, কোথাও এক মানুষ সমান জল!


আরও পড়ুন: 'ঘাটাল হল পশ্চিমবঙ্গের নৌকা, বৃষ্টি হলেই ডুবে যায়, মাস্টার প্ল্যানই সুরাহা', বললেন মুখ্যমন্ত্রী