বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর : গত কিছুদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি (Heavy Rain) চলছে রাজ্যে। আর সেই বৃষ্টিতে জল যন্ত্রণা যেন কাটছেই না রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার মানুষের। লাগাতার তিন দিনের বৃষ্টি হওয়ায় জমা জল থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না খড়গপুর (Kharagpur) দু নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। দু দিন বৃষ্টি না হলেও পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলার খড়গপুর পৌরসভার দু নম্বর ওয়ার্ডে এখনও বেশ কিছু জায়গায় জল জমে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।


আরও পড়ুন - West Midnapore: তিনদিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার একাধিক এলাকা, সাহায্যের আবেদন স্থানীয় বাসিন্দাদের


জমা জল নিয়ে স্থানীয় মানুষরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রশাসনের প্রতি। স্থানীয় এক মহিলা স্নেহা বিশ্বাস জমা জল প্রসঙ্গে বলেন, 'প্রতিবার ভোট নেওয়ার সময় নেতা কর্মীদের দেখা পাওয়া যায়। আমাদের কাছে হাত জোর করে কত কাজের প্রতিশ্রতি দিয়ে তাঁরা ভোট চেয়ে নিয়ে যান। কিন্তু ভোট মিটলেই তাঁদের আর কারও দেখা পাওয়া যায় না। কোনও কাজও হয় না। বৃষ্টি থেমে গিয়েছে দু দিন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও এলাকা থেকে জল নামল না। ঘরের মধ্যে জল জমে রয়েছে। বাড়িতে জমা জলে খাট, ফ্রিজ সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা কিছুতেই ঠিক হচ্ছে না। কাউকে অবিযোগ জানালে সবাই এসে খালি মাপজোক করে নিয়ে যায়। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করার কাজ আর শুরু হয় না। একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের আনন্দনগর এলাকায় জল জমে যায়। তার উপর গত কদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হয়েছে। ফলে মারাত্মক সমস্যায় রয়েছি আমরা।'


আরও পড়ুন - Weather Updates: আজ থেকে রাজ্যে বাড়ছে বৃষ্টি, উত্তরবঙ্গে ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি


এলাকার অন্য আর এক বাসিন্দা মিলন চক্রবর্তীর গলাতেও ক্ষোভের সুর। তিনি বলছেন, 'পুরো এলাকাটাই জলে ডুবে রয়েছে। কোথাও যেতে আসতে হলে জল পেরিয়ে যেতে আসতে হচ্ছে। অভিযোগ জানাতে গেলেই শুনতে পাচ্ছি, কাজ হচ্ছে। কিন্তু কোথায় কাজ হচ্ছে, কী কাজ হচ্ছে, কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। বৃষ্টি হলে রোজকার আমাদের এই জল জমার সমস্যা লেগেই রয়েছে। আর তাছাড়া আশেপাশের সমস্ত নয়ানজুলি ভরাট করে দিয়েছে। রাস্তার পাশের সমস্ত নয়ানজুলি ভরাট থাকলে জমা জল যাবে কোথায়! এর জন্যই এত জল জমছে। কবে যে এই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবো জানা নেই।'


প্রসঙ্গত, এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন যে, খড়গপুরে এর আগে এত জল জমত না। খড়গপুরের পৌরসভার প্রশাসক প্রদীপ সরকার বলছেন, 'আনন্দনগর এলাকাতে জলের একটা সমস্যা ছিল। ইতিমধ্যেই ওখানে আমরা কাঁচা ড্রেন কেটে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের খালের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছি যাতে জমা জল বেরিয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি আগামি দিনে ওই এলাকায় পাকা ড্রেনও করা হবে। তাতে খড়গপুরের মানুষদের আর জল যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাতে হবে না।'