বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: স্ত্রী-কে খুন (Murder Case)করে নিজেও আত্মঘাতী স্বামী ( Suicide Case)।ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ও শোকের ছায়া খড়্গপুর লোকাল থানার (Kharagpur Police Station) অন্তর্গত কুচলাতাড়ি এলাকায়। কিন্তু কী কারণে এমন ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বামী, কোনও মানসিকচাপে পড়ে, নাকি পরিকল্পিতভাবে, এই ঘটনা ঘটেছে, প্রশ্নের পর প্রশ্ন উঠে এসেছে নায়েক পরিবারকে ঘিরে।
আরও পড়ুন, অফিসের পরেই নিখোঁজ, দুর্গাপুরের কুয়ো থেকে উদ্ধার অন্ধপ্রদেশের ইঞ্জিনিয়ারের দেহ
সকালে ঘুম ভেঙে যায় দুই নাবালিকা কন্যার ও তাঁর ছেলের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর চারটা নাগাদ কুচলাতাড়ি গ্রামের বছর ৩৪-র যুগল নায়েক, নিজের বাড়িতেই প্রথমে ঘুমন্ত স্ত্রী বকুল নায়েকের গলা কেটে দেন হাঁসুয়া দিয়ে। এরপর, সেই ঘরেই একটি জানালায় নিজের গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে ঘুম ভেঙে যায় দুই নাবালিকা কন্যার ও তার ছেলের। তারা দাদুকে ডেকে ঘটনার ব্যাপারে বলে। দাদু প্রতিবেশীদের জানালে, প্রতিবেশীরা পৌঁছে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে খড়্গপুর মহাকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বিয়ের আগে থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন তাঁর ছেলে ?
যুগলের বাবা মদন নায়েক জানান, নেশাগ্রস্ত ছেলে, এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কিছুটা ভারসাম্যহীন ছিল ছেলে, তারই জেরে এরকম ঘটনা ঘটিয়ে দিয়েছে। কিন্তু যুগলের বাবার এই কথাই আরও প্রশ্ন তৈরি করেছে। তার ছেলে যে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে, সেটা কি বিয়ের পরে ? ছিল কি কারও দিকে থেকে চাপ ? নাকি বিয়ের আগে থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন তাঁর ছেলে ? যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে এই বিয়ে যুগল নায়েককে সব কি জেনে শুনেই করেছিলেন বকুল ? নাকি গোপন রাখা হয়েছিল এই সত্য। মূলত এই ঘটনায় গোটা এলাকায় থমথমে হয়ে আছে। যাকে দুদিন আগেও দেখেছেন,আচমকাই এহেন হত্যাকাণ্ডে শোকস্তব্ধ খড়্গপুরের এই কুচলাতাড়ি এলাকা।