বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর:  বউ ভাতের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে খড়্গপুরে রূপনারায়ণপুরে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার (Accident) কবলে কনে যাত্রী বোঝাই বাস ! গুরুতর আহত ১০। পুলিশের তৎপরতায় দ্রুত আহতদের (Injured) উদ্ধার করে ভর্তি করা হল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।


বউ ভাতের অনুষ্ঠান সেরে সোমবার ভোরে ঝাড়গ্রাম থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা থানার কুকড়াহাটির উদ্দেশ্যে ফিরছিল এক কনে যাত্রী বোঝাই বাস। বাসে ছিল প্রায় ৫০ জন কনে যাত্রী। খড়্গপুরের রূপনারায়ণপুরের ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে গার্ড ওয়ালে ধাক্কা মারে বাসটি এরপরই কনে যাত্রী-সহ রীতিমতো পাল্টি খেয়ে যায় বাসটি। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় অন্তত দশ জন কনে যাত্রী। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। ঘটনার পরে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় বাসের ড্রাইভার। তবে জখম হন বাসের হেল্পার। দুর্ঘটনার পর পুলিশি তৎপরতায় অন্যান্য কনেযাত্রীদের বাসে করে রওনা করা হয় তাঁদের গন্তব্যে। 


প্রসঙ্গত, এর আগেও সাতসকালে সাংঘাতিক অঘটন ঘটে। হলদিয়ার (Haldia) ভবানীপুর থানা এলাকার চকদ্বীপা হাইস্কুলের কাছে পুকুরে যাত্রী বোঝাই বাস উল্টে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। হলদিয়ার বালুঘাটা থেকে কুকড়াহাটি যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায় বেসরকারি বাসটি। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে উদ্ধারকার্যে হাত লাগান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। বেশ কয়েকজন যাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়। ভয়াবহ ছবিতে দেখা যায় পুকুরে বেঁকে অর্ধেক ডুবে রয়েছে বাসটি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাসে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ হলদিয়ার বালুঘাটা থেকে কুকড়াহাটি যাওয়ার পথে চকদ্বীপা হাইস্কুলের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায় বেসরকারি বাসটি। স্থানীয়দের আশঙ্কা, বাসটি যেভাবে পুকুরে পড়ে রয়েছে সেক্ষেত্রে একাধিক যাত্রী চাপা পড়তে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা, ভবানীপুর থানার পুলিশের সঙ্গে তিনটি ক্রেন এসেছে যাত্রীদের উদ্ধার করতে। বাসটিকে টেনে তোলার চেষ্টা চলছে। বাস থেকে সাঁতরে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় একাধিক যাত্রীকে। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত একাধিককে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসের সামনের কাচ ভেঙে উদ্ধারকাজ চলে। ঘটনাস্থলে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। 


আরও পড়ুন, রোগীমৃত্যুকে ইস্যুতে এসএসকেএমে উত্তেজনা, চিকিৎসায় 'গাফিলতি'র অভিযোগে ভাঙচুর


 পশ্চিম মেদিনীপুরেও এক সাংঘাতিক বাস দুর্ঘটনা ঘটে। মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে সেই অঘটন ঘটে। সরকারি বাস স্ট্যান্ডে দাঁড় করিয়ে ঠিকভাবে ব্রেক না দিয়েই নেমে পড়েছিলেন বাসের চালক। এরপর বাসের বনেট খোলার চেষ্টা করে খালাসি। দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি পিছিয়ে যেতে শুরু করে। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ছেলের, আহত হন বাবা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন,  যাত্রী নামিয়ে ওই গাড়ির চালক গাড়িটাকে দাঁড় করিয়ে শৌচাগারে চলে যান। তারপরে কন্ডাক্টর গাড়ির বনেট খুলে মালপত্র বের করার চেষ্টা করে। তখনই গাড়ির হ্যান্ডব্রেক না মেরে রাখায় ওই মুহূর্তে গাড়ি নিউট্রাল হয়ে যায়। পিছন দিকে গড়াতে শুরু করে গাড়ির চাকা। সকালের ব্যস্ত সময়ে বাসস্ট্যান্ডে ছিলেন অনেকেই। তখনই অঘটন ঘটে যায়।