অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: খড়গপুরে (Kharagpur) দিলীপের মঞ্চে ধুন্ধুমার। চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগে বিজেপির সভাতেই ধুন্ধুমার দিলীপের মঞ্চ থেকে টেনে নামিয়ে মহিলাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারের অভিযোগ। আর এই ঘটনায় এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Majumdar)। 


বিজেপি, মুখোশ পরে সাধু সাজছে: জয়প্রকাশ মজুমদার


এদিন জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন,' এই ঘটনার দুটো দিক আছে।এক হচ্ছে, দিলীপ বাবুর সঙ্গে যারা ঘুরছে, এর আগেও এমন অভিযোগ এসেছে।  যে তাঁরা, কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা অন্য জায়গায়, চাকরি দেওয়ার নাম করে মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়েছে। সেগুলির তদন্ত হওয়া দরকার। আবার উল্টো দিকে, হঠাৎ কারোর উপর আইন হাতে তুলে নেওয়া, এই প্রবণতাও বন্ধ করা দরকার। কারণ এই প্রবণতা তৈরি করছে বিজেপি এবং সিপিএম। কারও কোনও অভিযোগ থাকলে, আমরা মনে করি, সে দলেরই হোক না কেন, পুলিশের কাছে কমপ্লেন করা উচিত।এবং পুলিশকে ছেড়ে দেওয়া উঠিত। তারা দায়িত্ব নিয়ে তদন্ত করবে। যেমন একদিকে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়াটা কিছুতেই সমর্থন করতে পারি না। এবং উল্টোদিকে বিজেপি, মুখোশ পরে সাধু সাজছে,সেটাও আজকে প্রমাণিত হচ্ছে, যে তাঁদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা সাধারণের সঙ্গে মিশে প্রতারণা করেছেন।'


খড়গপুরে (Kharagpur) দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মঞ্চেই ‘প্রতারক’! চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগে বিজেপির সভাতেই ধুন্ধুমার দিলীপের মঞ্চ থেকে টেনে নামিয়ে মহিলাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারের অভিযোগ।খড়গপুরের গোলবাজারে রেলে বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সভায় এই ঘটনা ঘিরে বিতর্কের ঝড়। মালদা থেকে আসা একজনকে প্রতারক বলে অভিযোগ সংগঠনেরই একাংশের।অনুষ্ঠানে চলাকালীনই মঞ্চ থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে বেধড়ক মারের অভিযোগ। মারধরের পরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলেন বিজেপিরই শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা। প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে মুখে কুলুপ বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের। 'কিছু জানার থাকলে সংগঠনের নেতাদের জিজ্ঞেস করুন', মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। 


আরও পড়ুন, 'দুর্গার রোল প্লে করছেন', বিস্ফোরক সেলিম


এখন তো বিজেপি-র সব নেতাই ব্যোমকেশ বক্সী হয়ে উঠেছেন: জয়প্রকাশ মজুমদার


রাজ্যে একদিকে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় জেলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিকে রাজ্যে আরও একাধিক মামলায় জেরবার শাসকদল।  সম্প্রতি গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর গ্রেফতারি এবং সিবিআই চার্জশিট ইস্যুতে সুকান্ত বলেন,  "সাগয়ল পুলিশের সাধারণ সাব ইনস্পেক্টর। তার পক্ষে এই চক্র চালানো সম্ভব নয়, যদি না রাজনৈতিক মদক থাকে পিছনে।  তাই সাগয়ল যে চক্র চালাত, বকলমে তা অনুব্রতই চালাতেন। তাঁকে দায় নিতে হবে। অপরাধী যিনি সাজা পাবেন।'সুকান্তর এই মন্তব্যেই বিজেপি-কে একহাত নেন জয়প্রকাশ। ফোনে এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, 'এখন তো বিজেপি-র সব নেতাই ব্যোমকেশ বক্সী হয়ে উঠেছেন।  রাজনৈতিক ভাবে মানুষের কাছে না গিয়ে ব্যোমকেশ বক্সীর কাজ করছেন। এই যে বলছেন, সামনে কে রয়েছেন, পিছনে কে রয়েছেন, তা তদন্তকারীদের হাতে ছেড়ে দিন না! আর উনিই বা এত ভিতরের খবর জানছেন কী করে? ইডি-সিবিআই তদন্ত করছে। তদন্তের রিপোর্ট কোর্টে জমা দেবে। কোর্ট ঠিক করবে, কে দোষী, কে নির্দোষ। ভারতের আইন এটাই।'