অলোক সাঁতরা, কেশপুর: ফোনে কথা বলার সময় বিপত্তি। বিস্ফোরণে ফেটে গেল ফোন (Phone Blast)। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে (Android Phone)কথা বলার সময়ে হঠাৎ তা থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন ধরে যায় ফোনটিতে। হাত থেকে ফোন ফেলে দিয়ে রক্ষা যুবকের।


বিস্ফোরণে ফেটে গেল ফোন:  শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) কেশপুরের (Keshpur) মুগবাসান এলাকাতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুগবাসান এলাকার যুবক আব্দুল শফি বাড়ি থেকে বেরিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে কাজের প্রয়োজনে কয়েকজনকে ফোন করতে যাচ্ছিলেন তিনি। দুজনকে ফোন করার পর তৃতীয় জনকে ফোন করতে যেতেই হঠাৎ মোবাইল ফোন থেকে একটা শব্দ হয়। কোনও কিছু বোঝার আগেই মোবাইল ফোনটিতে আগুন লেগে যায়। চোখের নিমেষে পুরো ফোনটিতে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফেলে দেন।  হাত থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে রক্ষা পান ওই যুবক।


 অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফেটে বিপত্তি: এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। হঠাৎ ফোনে বিস্ফোরণ এবং তা থেকে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্কিত ওই যুবক। আব্দুল শফি বলেন, " কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছিনা। সৌভাগ্যবশত ফোনটি পকেটে ছিল না আমার হাতে ছিল। না হলে আমার প্রাণনাশ হতে পারত। সাধারণ মানুষকে সতর্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানিকেও বিষয়টি অবগত হতে অনুরোধ করবো।"


এদিকে অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরগরম পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়। বিজেপি করায় বিধানসভা ভোটের পর থেকেই চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ করলে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে সালিশি করতে বলছেন স্থানীয় থানার OC। এমনটাই অভিযোগ। অভিযোগকারীদের দাবি, বিষয়টিতে উদাসীন জেলা প্রশাসন। এই অভিযোগ সামনে আসতেই ফের রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে সুর চড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি, পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূল। নারায়ণগড় থানার ওসির দাবি, বিধানসভা ভোটের পর একটা সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু সেটি মিটে গিয়েছে। ফলে সালিশির জন্যে তৃণমূল পার্টি অফিসে বসতে বলার প্রশ্নই ওঠে না।


আরও পড়ুন: Bidhannagar News: সামগ্রী বিক্রির নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ, কেষ্টপুরের কল সেন্টার থেকে গ্রেফতার ৫