কলকাতা: ইডি ও সিবিআইয়ের (ED CBI) অতিসক্রিয়তার (overactivity) অভিযোগে বিধানসভায় (assembly) প্রস্তাব পাশের দিন ফের কড়া সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM)। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বললেন ‘রাজ্য সরকারকে (state government) না জানিয়ে এর ওর বাড়িতে চলে যাচ্ছে। এর ওর বাড়িতে যাচ্ছে আর টাকার পাহাড়ের কথা বলছেন। গেরুয়া পরে বসে রয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে গেলে টাকার পাহাড় (money) বেরোবে।' সঙ্গে সংযোজন, ‘অন্যায় করলে তাঁর শাস্তি হবে। কিন্তু বিরোধী দলনেতার বাড়িতে একবারও সিবিআই যাবে না।'

কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?ইডি ও সিবিআই অতিসক্রিয়তার অভিযোগে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব তৃণমূল। এদিন মমতা বন্দোপাধ্যায় আরও বলেন, 'তুমি চুরি করলে সাধু। আর আজকে আমাদের কারও নামে অভিযোগ উঠলেই বাড়িতে সিবিআই যাবে। তোমাদের মতো চোর আমরা নই।’ সঙ্গে সংযোজন,'আমরা ক্রীতদাস সরকার নই। শুধু দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। আপনার সরকার ডুবু ডুবু হচ্ছে, আপনারা থাকবেন না।' এদিন তৃণমূলনেত্রীর আরও একটি মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। সূত্রের খবর, বিধানসভায় তিনি বলেছেন, ‘মোদি এটা চান না, আমি জানি। এটা বিজেপি নেতাদের কারবার। কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি নেতারা এসব করছেন। ক্ষমতায় আসতে পারছেন না বলে এই সব করছেন।’ সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেন তিনি। এর পরই তীব্র  জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা, 'চুরি করলে ধরা পড়বেই।‘

আর কী বললেন?এদিন আরও একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন মমতা। বলেন,'সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। আগে সিবিআই এরকম ছিল না। গণতন্ত্র  ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে। সরকার আর ওঁর পার্টিকে এক করবেন না।' এর পরই সংযোজন, 'ওঁর জন্মদিন গিয়েছে, কিছু বলছি না।’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যাতে নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে, সেটাই চান তিনি। এদিন ফের বিধানসভায় মনে করান মমতা। উল্লেখ্য, এদিন ইডি-সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়তার অভিযোগে প্রস্তাব পাশ হয়ে যায় বিধানসভায়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট ১৮৯ জন বিধায়কের, বিপক্ষে ভোট পড়ল ৬৪ জন বিধায়কের।কিছুটা চিৎকার-চেঁচামেচি হল বটে। তবে আলোচনা ও প্রস্তাব পাশের প্রক্রিয়া আটকায়নি তাতে। মুখ্যমন্ত্রীর কথাও শোনেন বিরোধীরা।

আরও পড়ুন:নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, জানাল ইডি