অরিত্রিক ভট্টাচার্য, বালেশ্বর: করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Coromondel Express Accident) পর সমস্ত স্টেশনের রিলে রুমের (Relay Room) নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে রেল বোর্ডে (Rail Board)। অভিশপ্ত বাহানাগা স্টেশনের রিলে রুমের অবস্থাটা ঠিক কী? এখনও পর্যন্ত রিলে রুমে সিসিটিভি লাগানো হয়নি। ব্যবস্থা নেই পর্যাপ্ত নজরদারির। আইপিএস ও ব্যাটারি রুম রয়েছে রিলে রুমের ঠিক পাশেই। কিন্তু অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা এড়াতে যে ভাবে রিলে রুমের সুরক্ষা বাড়াতে নজর দিতে বলেছে রেল বোর্ড, তার কতটুকু মানা হচ্ছে? প্রশ্ন থাকছেই। অনেকের মতে, রেল বোর্ডের তরফ থেকে সুরক্ষার কথা বলা হলেও তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো কতটা রয়েছে, তা যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ থাকছে।
নতুন অভিযোগ...
ওড়িশার ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার দিনচারেকের মাথায় রেলের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ শোনা যায়। সূত্রের খবর, ৫ মাস আগেই মাইসোর ডিভিশনে একইরকম দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় আপ সম্পর্ককান্তি এক্সপ্রেস। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পয়েন্টের ভুলে মেন লাইন থেকে লুপ লাইনে ঢুকে যায় ট্রেনটি। কিন্তু গতি কম থাকায় বিপর্যয় এড়াতে সক্ষম হন লোকো পাইলট। বিষয়টি চিঠি দিয়ে বিষয়টি উচ্চপদস্থ কর্তাদের জানান সাউথ ওয়েস্ট রেলওয়ের প্রিন্সিপাল চিফ অপারেশন ম্যানেজার। কিন্তু তার পরেও ঘুম ভাঙেনি রেলের, এমনই অভিযোগ। রেলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
কটকে মুখ্যমন্ত্রী...
এসবের মধ্যে 'বাংলার ১০৩ জনের দেহ শনাক্ত করা গেছে, ৩১ জনের খোঁজ নেই', এদিন ওড়িশা পৌঁছে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে জানালেন, ওড়িশায় এখনও বাংলার ৯৭ জন চিকিৎসাধীন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পড়শি রাজ্য, ওড়িশার বিজেপি সরকার শাসিত প্রশাসনকে সমস্ত সহযোগিতার জন্য় ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সঙ্গে বলেছেন, 'বাংলার ৪০ জন আধিকারিক এখানে রয়েছেন। ৪০০-র বেশি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে। ডাক্তার-নার্সরাও আছেন।' এদিন আরও একবার ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ও আহদের পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন মমতা। তবে সঙ্গে এদিনও মনে করান, এই সময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। সত্যিটাকে যাতে ধামাচাপা না দিয়ে প্রকাশ্যে আনা হয়, সে কথা আরও একবার মনে করিয়ে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'শুভবুদ্ধির উদয় হোক।' প্রসঙ্গত, বালেশ্বরে করমণ্ডল-বিপর্যয়ের পরের দিনই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা। মঙ্গলবার ফের একবার ওড়িশায় পৌঁছে গেলেন তিনি। কটকে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এ রাজ্যের আহতদের সঙ্গে দেখা করার কথা তাঁর। ইতিমধ্যেই ভুবনেশ্বর এইমসে গিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও শশী পাঁজা। মৃতদেহ রাজ্যে আনা, আহতদের ফেরানো এবং নিখোঁজদের অনুসন্ধান, গোটা প্রক্রিয়ার তদারকির জন্য তিনদিনের পাহাড় সফর গতকালই বাতিল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন:মিটিংয়ে ধমক, হেনস্থা, অভব্য আচরণ! ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড