রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: রেলের ওভার হেডলাইনের খুঁটিতে যুবকের ঝুলন্ত দেহ (Youth Hanging Body In Jalpaiguri) উদ্ধার ঘিরে হইচই জলপাইগুড়িতে। শুক্রবার সকালে  জলপাইগুড়ি শহরের চার নম্বর ঘুমটি এলাকার ঘটনা।এ দিনের এই ঘটনার জেরে গতি কমিয়ে এলাকা পেরোয় বাংলাদেশ থেকে আসা মিতালি এক্সপ্রেস।


কী জানা গেল?
শুক্রবার সকালে শুক্রবার সকালে জলপাইগুড়ি শহরের চার নম্বর ঘুমটি এলাকায় রেল লাইনের ধারে একটি ওভারহেড পোলে যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায় বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য শুরু হয় এলাকায়। ঘটনার জেরে হলদিবাড়ি নিউ জলপাইগুড়িগামী লোকাল ট্রেন বেশ কিছু সময় থমকে থাকে। ওভার হেড লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে দেওয়া হয়। এছাড়া বাংলাদেশের ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী মিতালী এক্সপ্রেস গতি কমিয়ে ঘটনাস্থল পার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলকর্মীরা। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত যুবকের নাম রাজু দাস। বাড়ি রেল লাইন সংলগ্ন নিউ টাউন পাড়া এলাকায়। কিন্তু তাঁর দেহ রেলের ওভার হেডলাইনের খুঁটিতে এল কী ভাবে? নেপথ্যে কি কোনও রহস্য রয়েছে? কখনও ঘটল এই ঘটনা? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু...
রহস্য়জনক না হলেও রেলের হাইটেনশন তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা আগেও ঘটেছে এ রাজ্যে। গত বছর জুন মাসেই যেমন, পশ্চিম বর্ধমানের পান্ডবেশ্বরে রেলের হাই টেনশন লাইনের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান এক লরিচালক। গভীর রাতের ওই ঘটনায় প্রথমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় লরি চালককে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু পথেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। মৃতের নাম ছিল দীনেশ কুমার। আদতে উত্তরপ্রদেশের সামবল জেলার আসমলি থানার গজনী গ্রামের বাসিন্দা ৩৩ বছরের যুবক দীনেশ। এই ঘটনার কয়েক দিন আগেই আবার হাইটেনশন তারেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল। ওই মর্মান্তিক ঘটনায় মৃত্যু হয় ২ জনের। তাঁরাও ভিনরাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন। সেই ঘটনাটি ঘটেছিল বীরভূমের সদাইপুরে, যার পর তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এলাকায়। যাঁরা মারা গিয়েছিলেন তাঁরা সম্পর্কে ভাই ছিলেন। নিহত দুজনের বাড়ি ছিল উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলায়। 


আরও পড়ুন:অপেক্ষার অবসান ! ছুটল গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো, দেখে নিন বিস্তারিত সময় সূচি