CTET Hall Ticket: সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের (CBSE) পক্ষ থেকে প্রকাশিত হল সিটেট বা সেন্ট্রাল টেট (Central Teacher Eligibility Test) পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড। যে সমস্ত পরীক্ষার্থীরা এই পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন, তারা এবার সহজেই সি টেটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে হল টিকিট বা অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। চলতি মাসেই ২১ জানুয়ারি হবে এই পরীক্ষা।


মূলত দুটি শিফটে আয়োজিত হবে এই পরীক্ষা। প্রথম শিফট শুরু হবে ৯.৩০ টা থেকে, চলবে ১২টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় শিফট হবে দুপুর ২টো থেকে ৪.৩০ পর্যন্ত। জানা গিয়েছে যারা শুধু পেপার ২-এর পরীক্ষা দেবেন, তাদের জন্য শুধুই প্রথম শিফটের পরীক্ষা। আর যারা দুটো পেপারেই পরীক্ষা দেবেন, তাদের দুটি শিফটের পরীক্ষাতেই বসতে হবে। পরীক্ষার দিন নির্দিষ্ট সময়ের দু-ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীকে উপস্থিত হতে হবে পরীক্ষাকেন্দ্রে। অর্থাৎ ৯.৩০টায় যাদের পরীক্ষা তাদের ৭.৩০টার মধ্যে আসতে হবে পরীক্ষাকেন্দ্রে।


কীভাবে ডাউনলোড করবেন অ্যাডমিট বা হল টিকিট ?



  • প্রথমে আপনাকে যেতে হবে ctet.nic.in ওয়েবসাইটে।

  • তারপর সেখানের হোমপেজে ক্লিক করুন 'ডাউনলোড অ্যাডমিট কার্ড: সিটেট জানুয়ারি ২০২৪' ট্যাবে।

  • এখানে আপনাকে বসাতে হবে লগ ইন তথ্য।

  • তারপর অ্যাডমিট চেক করে সহজেই তা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন আপনি।

  • ভবিষ্যতের জন্য আপনি চাইলে তা প্রিন্ট আউট করেও রেখে দিতে পারেন।


কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে ?



  • পরীক্ষার্থীকে নিজের নীল বা কালো কালির ডট পেন নিয়ে আসতে হবে পরীক্ষাকেন্দ্রে।

  • যথাযথ অ্যাডমিট কার্ড এবং একটি উপযুক্ত সচিত্র প্রমাণপত্র ছাড়া কোনওভাবেই পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না পরীক্ষার্থী।

  • পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে যেতে পারবেন না, অ্যাটেন্ডেন্স শিটে সই করে তারপরেই তিনি বেরোতে পারবেন।

  • অ্যাডমিটের সংলগ্ন ইনফরমেশন বুলেটিনে উল্লিখিত সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলাই বাঞ্ছনীয়।


মোট ২০টি ভাষায় এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। কম্পিউটার বেসড এই পরীক্ষা (CTET) দুটি শিফটে হয় যার প্রতিটির সময়সীমা আড়াই ঘণ্টা। এই পরীক্ষায় বসতে গেলে পরীক্ষার্থীকে ন্যূনতম স্নাতকে ৫০ শতাংশ নম্বর এবং বিএড ডিগ্রি থাকা বাঞ্ছনীয় বলে জানানো হয়েছে। তবে এছাড়াও স্নাতকে ৫০ শতাংশ নম্বর সহ কেউ যদি ১ বছরের স্পেশাল এডুকেশনে বিএড ডিগ্রি অর্জন করেন তিনিও এই পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্য। কোনও পরীক্ষার্থী যদি ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন এবং তিন বছরের ইন্টিগ্রেটেড বিএড-এমএড ডিগ্রি অর্জন করে থাকেন, তিনিও এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে তিন বছরের বিএড-এমএড করা থাকলেও পরীক্ষার্থী নির্বাচিত হলে শিক্ষকতা শুরুর আগে ৬ মাসের জন্য তাঁকে একটি এলিমেন্টারি এডুকেশনের প্রশিক্ষণ (Bridge Course) নিতে হবে আবশ্যিকভাবে। সাধারণ অসংরক্ষিত পরীক্ষার্থীরা ৬০ শতাংশ নম্বর পেলেই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে ধরে নেওয়া হয়। সংরক্ষিত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।


আরও পড়ুন: Rules for Coaching Centers: '১৬ বছরের নিচে কাউকে ভর্তি নেওয়া যাবে না', কোচিং সেন্টারগুলিকে নয়া নির্দেশিকা শিক্ষা মন্ত্রকের


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI