নয়া দিল্লি: জীবন সকলের সমান থাকে না। জীবনের লড়াইও সমান হয় না। কিন্তু সেই সব বাধা, প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে যারা এগিয়ে চলে সাফল্যর শিখরে পৌঁছন সমাজের 'হিরো' তাঁরাই, সকলের অনুপ্রেরণা তাঁরাই। তেমন এক আইএএস অফিসার আছেন, যিনি ছোটবেলায় দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন। কিন্তু লড়াই করে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের মতো কঠিন পরীক্ষা পাস করে তিনি বাংলার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক পদের দায়িত্ব সামলেছেন কেম্পা হোনাইয়া।
ছোট থেকেই লড়াই
কর্নাটকের টুমাকুরু জেলার চৌদানাকাপ্পি গ্রামে জন্ম কেম্পার। বাবা ছিলেন কৃষক। তিনি যখন ক্লাস থ্রি-তে পড়তেন সেই সময় রেটিনাল সমস্যা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যায় তাঁর। বন্ধ হয় পড়াশুনো। তবে কথায় আছে, লড়াকুদের ভাগ্য সহায় হয়। সেইভাবেই মাইসোরে একটি ব্লাইন্ড স্কুলে পড়াশুনো করার সুযোগ পান তিনি। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে একটি ঘটনা ঘটে, যা আমূল বদলে যায় জীবন।
একজন মহিলা যিনি তাকে রাস্তা পার হতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি কেম্পার জীবনে বদল আনে বলা হয়। পরে তিনি তাকে বিয়ে করেন এবং তাদের দুই ছেলে রয়েছে। হোনাইয়ার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে সাহিত্যে। তিনি বলেন, "দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বিশেষ বোধশক্তি এবং অন্তর্দৃষ্টি আছে। আমি নিশ্চিত এই দুটি গুণ আমাকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে।"
কেম্পা হোনাইয়া পশ্চিমবঙ্গের প্রথম দৃষ্টিশক্তিহীন অতিরিক্ত জেলাশাসক, যিনি বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরে পোস্টেড রয়েছেন। Administrative Training Institute এবং মহিলা-শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ দফতরের OSD পদে রয়েছেন তিনি।
কীভাবে পড়াশুনো করেছেন?
প্রাইমারিতে পড়াশুনোর সময়ই দৃষ্টিশক্তি চলে যায় তাঁর। সেই সময় টেক্সটবুকটিকেই তিনি ব্রেইলের আকারে পড়েছেন। পরবর্তীতে তাঁর স্ত্রী তাঁকে পড়ার নোটস তৈরি করে দিতেন। এমনকী পড়ে পড়ে শুনিয়ে তা মুখস্থ করতে এবং বুঝতেও সাহায্য করতেন বলে জানিয়েছেন কেম্পা।
আরও পড়ুন, কালই চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা চন্দ্রযানের,সাফল্য কামনা করে তিরুপতি মন্দিরে পুজো ইসরো কর্তাদের
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI