নয়া দিল্লি: ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই ২০২৩-এ চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। ২০১৯ এ চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়েছিল চন্দ্রযান-২ (Chandrayaan-2)। সফট ল্যান্ডিংয়ের বদলে হার্ড ল্যান্ডিংয়ের জেরে অত্যাধিক গতিতে চাঁদের মাটিতে ল্যান্ড করতে পারেনি চন্দ্রযান। সেই সঙ্গে দেশবাসীর স্বপ্নও থেকে গিয়েছিল অধরা। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই নয়া স্বপ্ন উড়ান নিয়ে এবার যাত্রা করবে চন্দ্রযান-৩।
শুক্রবার দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। তার আগে চন্দ্রযানের সাফল্য কামনা করে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে গেলেন ইসরোর কর্তারা। সেখানে চন্দ্রযানের একটি ছোট সংস্করণ নিয়ে পুজো দেন তাঁরা। সব বিপদ কাটিয়ে যাতে চাঁদের মাটি ছুঁতে পারে চন্দ্রযান সেই লক্ষ্যেই এই প্রার্থনা বলে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন ইসরোর এক কর্তা।
এর আগে চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডিং থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার সেই বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ইসরো। জানা গিয়েছে এবার ধাক্কা খেলেও চালু থাকবে চন্দ্রযান। সব অ্যালগোরিদম ফেল করলেও ল্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। সেই মতোই সমস্ত প্রোগ্রাম সাজানো হয়েছে। সম্প্রতি শেষ হয়েছে চন্দ্রযানকে বহনকারী লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-থ্রি (LVM-III) রকেটের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার কাজটি। চাঁদে যাওয়ার রকেটটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে।
চন্দ্রযান-৩ কে সাজানো হয়েছে একটি ল্যান্ডার ও একটি রোভার দিয়ে। এই মহাকাশযানটি চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশের পর প্রোপালশন মডিউল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ঠিক সেরকমই প্রোগ্রাম করা আছে। মহাকাশে চাঁদের পৌঁছানোর কক্ষপথ যথেষ্ট দীর্ঘ ও জটিল। চন্দ্রযান-২-এ এমন টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছিল যা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষীয় টান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য আস্তে আস্তে গতি বাড়াতে পারে। সেই সময় অরবিটাল কৌশলকে কাজে লাগিয়ে এবার ট্রান্স লুনার ইঞ্জেকসনসকে কাজে লাগানো হবে।
চন্দ্রযান-৩ হয়তো চাঁদে পৌঁছাবে ২৩ শে থেকে ২৪ শে অগাস্টের মধ্যে। মহাকাশযানটি যখন চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মধ্যে প্রবেশ করবে তার গতি অনেক কমে যাবে। মহাকাশযানটি তার উচ্চতা কমিয়ে ধীরে ধীরে প্রবেশ করবে চাঁদের বৃত্তাকার কক্ষপথে। মহাকাশযানটি ইঞ্জিনগুলি লুনার অরবিট ইনসারশন (LOI)-এর মাধ্যমে গতি অনেকটাই কমিয়ে দেবে। এভাবেই চাঁদের মাধ্যকর্ষণের সঙ্গে খাপ খাওয়াবে চন্দ্রযান-৩। -
আরও পড়ুন, একাধিকের সঙ্গে সম্পর্ক, মেনে নিতে পারে না সঙ্গিনীরাও! রেগে ডিভোর্স করে পাখিরাও