নয়াদিল্লি: ঝুলিতে ছিল ৯৯.৯৭ পার্সেন্টাইল। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নয়। ইচ্ছা ছিল অন্তত ৯৯.৯৮ পার্সেন্টাইল স্কোর করার। আর তাই দ্বিতীয়বার জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেন বছর ১৭-র ছাত্রী। সবাইকে চমকে দিয়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ৩০০-র মধ্যে ৩০০ নম্বরই পান দিল্লির ছাত্রী কাব্য চোপড়া। রেকর্ড গড়ে ঝুলিতে এবার ১০০ পার্সেন্টাইল।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষায় বসেন কাব্য। কিন্তু সেই পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল হয়নি। তাই মার্চ মাসের সেশনে ফের পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নেন ওই ছাত্রী। আর এই সিদ্ধান্তে নিজের স্বপ্নকে ছুঁয়ে ফেলেছেন কাব্য। দিল্লির বসন্ত কুঞ্জে দিল্লি পাবলিক স্কুলে পড়েন ওই ছাত্রী। বরাবরই অত্যন্ত মেধাবী তিনি। নবম শ্রেণি থেকেই রিজিওনাল ম্যাথামেটিকাল অলিম্পিয়াড সফল ভাবে উত্তীর্ণ হচ্ছেন তিনি।
কাব্যর বাবা কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর মা অঙ্কের শিক্ষিকা। ভাই নবম শ্রেণির ছাত্র। রিজিওনাল ম্যাথামেটিকাল অলিম্পিয়াড ছাড়াও একাধিক প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। কাব্যর স্বপ্ন তিনিও বাবার মতো কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ার হবেন। তাঁর মতে অঙ্কের জ্ঞান দিয়েই কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ার হওয়া সম্ভব।
নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে কোনও খামতি রাখেননি কাব্য। দিনে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পড়তেন তিনি। এনসিইআরটি-র বই এবং পুরনো প্রশ্নপত্রের উপর নির্ভর করেই লেখাপড়া করেছেন তিনি। বাবার মতো ইঞ্জিনিয়ার হতে কোটায় পড়তে যান তিনি। কোটার অ্যালেন কেরিয়ার ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করতেন তিনি। এরপর জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইআইটি বম্বেতে লেখাপড়া করতে চান তিনি।
কাব্য জানিয়েছেন বরাবরাই সঙ্গে ছিল পরিবারের সমর্থন। তাই এই লড়াই এত সহজ হয়েছে। তিনি বলেন, আমাকে এবং আমার ভাইয়ের মধ্যে কখনও কোনও বৈষম্য আনেনি বাবা মা। আমি একজন কন্যা সন্তান হিসেবে খুব খুশি। আমাদের দেশে অনেক মেয়ে আছে যারা স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পর্যন্ত পাননা। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে আমি খুব ভাগ্যবতী।
জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন পরীক্ষায় ৬ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী নাম নথীভুক্ত করেন। মার্চের মাসের পরীক্ষায় কাব্য ছাড়াও ১২ জন পরীক্ষার্থী ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়েছেন। আগামী মে মাসে সারা ভারতের র্যাঙ্ক প্রকাশ করবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI