নয়া দিল্লি: ভারতের (India) সবচেয়ে কঠিন সরকারি পরীক্ষা বলে যেটিকে বিবেচনা করা হয় তা ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC)। যে পরীক্ষায় একবারেই উত্তীর্ণ হওয়া প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করেন অনেকে। ব্যতিক্রমও থাকে। তবে তা সীমিত সংখ্যকই। এই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে যে কেবল মেধার প্রয়োজন তাই-ই নয়, ধৈর্য-অধ্যবসায়ও জরুরি।                                                                             



সেই কাজেই নজির গড়লেন দেশের প্রথম দৃষ্টিশক্তিহীন প্রার্থী প্রাঞ্জল পাটিল। যিনি সমস্ত শারীরিক প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে ভারতের প্রথম দৃষ্টি প্রতিবন্ধী IAS অফিসার হয়েছেন। এই লক্ষ্যপূরণে তাঁর অনুপ্রেরণামূলক সাফল্যের গল্প আক্ষরিক অর্থেই সংগ্রামে পূর্ণ। 


কে এই প্রাঞ্জল পাটিল? 


মহারাষ্ট্রের উলহাসনগরের বাসিন্দা প্রাঞ্জল। খুব ছোটবেলাতেই তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি প্রাঞ্জল। প্রথমে তিনি মুম্বইয়ের কমলা মেহতা দাদর স্কুল ফর দ্য ব্লাইন্ডে পড়াশুনো করেন। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পিএইচডি এবং এম.ফিল করার আগে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন তাঁর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে দু'বারই পরীক্ষায় বসেন। তবে সেই সময় তাঁর প্রথম র‌্যাঙ্ক ছিল ৭৪৪, দ্বিতীয়বারে তাঁর র‌্যাঙ্ক হয় ১২৪। 


প্রসঙ্গত, প্রাঞ্জলের দৃষ্টিশক্তি না থাকলেও তিনি আইএএস এর জন্য আলাদা করে কোনও কোচিং নেননি। তবে কীভাবে তিনি এই সাফল্য পেলেন? প্রাঞ্জল বলেছেন, তিনি আইএএস-এ সাফল্য পেতে বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করেন যে পড়া তিনি দেখতে পাচ্ছেন না, তা তিনি শুনে পড়ে নেন। বুঝে নেন সেভাবেই। 


২০১৭ তে সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় ১২৪ তম স্থান অর্জন করার পরে ২০১৮ সালে তিনি কেরালার এর্নাকুলামে সহকারী কালেক্টর নিযুক্ত হন। প্রাঞ্জল পাটিলকে এই মুহূর্তে তিরুঅনন্তপুরমের সাব-কালেক্টর এবং কেরালায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 


তবে লড়াই কিন্তু এখানেই শেষ নয়। প্রাঞ্জলকে প্রথমে রেলে চাকরি দেওয়া হয়। কিন্তু দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার কারণে তাঁকে ভারতীয় রেলওয়ে অ্যাকাউন্টস সার্ভিসে চাকরি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। 


 


আরও পড়ুন, রাজ্যপাল নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার দাবি তুললেন প্রাক্তন উপাচার্যরা!


 


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI