কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছিলেন অভিভাবকরা। কিন্তু সেই দাবি মানেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছিলেন, সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করে, দূরত্ব বিধি বজায় রেখে, স্যানিটাইজ করার পরে পরীক্ষা নেবেন তারা। কলেজের তরফে জানানো হয়েছে পরীক্ষার্থীরা রওনা হওয়ার আগে যেন কোভিড ১৯ পরীক্ষা করিয়ে নেন। কলেজে পৌঁছে সপ্তাহ দুয়েক কোয়ারান্টিনে থাকার পর তাঁরা পরীক্ষা দেবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থীর আত্মীয়ের কথায়, ‘‘কর্তৃপক্ষ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কলেজে পৌঁছতে বলেছে। দু সপ্তাহ কোয়রান্টিনে থেকে তৃতীয় সপ্তাহে পরীক্ষায় বসতে হবে।’’
কিন্তু পুণে এবং পিমপ্রি চিঁচোড়ের পরিস্থিতি সকলেই জানে। তারপরেও এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষা হলে গিয়ে পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না অভিভাবকেরা। এক অভিভাবক বলেছেন, ‘‘পড়ুয়াদের বেশিরভাগ ভিন রাজ্যের। তাদের হয় বাসে বা বিমানে করে আসতে হবে। তাতেই তো সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা।’’ করোনার এই পরিস্থিতির মধ্যে এ ভাবে পরীক্ষা নে্ওয়া যে ঝুঁকির সেটা মানছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। ভাইস চ্যান্সেলর এন জে পাওয়ারের কথায়, ‘‘আমি সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী ও তার অভিভাবকদের আশ্বস্ত করছি সমস্ত সতর্কতা মেনে, দূরত্ব বজায় রেখে, জীবাণুমুক্তকরণ করার পরেই পরীক্ষা নেব। ২৫০ জনের বসার জায়গা রয়েছে। সেখানে ১৫৯জন পরীক্ষা দিলে দূরত্ব বিধি মেনে চলা সম্ভব হবে।’’
ভাইস প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই মেডিক্যালের পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। রেজাল্টও বেরোনোর মুখে। ফলে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেন, তাহলে তারাও অনেকটা নিশ্চিন্ত হয়ে পরীক্ষার জন্য যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারবেন। কলেজ হস্টেলে পড়ুয়াদের কোয়রান্টিনের ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানিয়েছেন ভাইস প্রিন্সিপাল এন জে পাওয়ার।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI