নয়াদিল্লি: একাগ্রতা আর কঠোর পরিশ্রম। সাফল্য পেতে এর কোনও বিকল্প নেই। সাফল্যের শীর্ষস্তরে পৌঁছতে নেই কোনও শর্টকার্ট। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মুখেই নানা সময়ে উঠে এসেছে এই কথা। প্রতিযোগিতা যেখানে চরম, সেখানে সফল হতে যে পরিশ্রমের চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছতে হবে তা আর নতুন কী ! আর সেই প্রতিযোগিতার নাম যদি হয় IAS,তাহলে প্রস্তুতির জন্য পরিশ্রম ঠিক কতটা হতে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে কি ? তবে, নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে IAS-র দরজা পেরোতে সফল হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের নিজমুখে সে লড়াইয়ের গল্প শুনলে কঠিন রাস্তাটা সুগম হয়ে যেতে পারে। আজ থাকল IAS কুমার অনুরাগের সংগ্রাম কাহিনি।


ব্যাকবেঞ্চার তকমা যে সিঁড়ির সর্বোচ্চ ধাপে ওঠার অন্তরায় নয়, আহামরি ভালো ছাত্র না হওয়া মানেই যে সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয় তার উদাহরণ অনুরাগ । তাঁর কথায়,  তিনি সাধারণমানের ছাত্র বরাবরই। কলেজেও ছিলেন ব্যাকবেঞ্চারদের দলে। পড়াশোনা চালাতে টপারদের নোট কপি করতে হত। কলেজ পাশ করতে চেষ্টার কসুর করেননি। এতকিছু নেগেটিভ সত্ত্বেও IAS হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। জানতেন টপারদের সঙ্গেই লড়তে হবে তাঁকে। পিছপা হননি। জীবনের শিক্ষায় শিক্ষা নিয়েছেন। 


আরও পড়ুন-CISCE Board Exam Date 2021: আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার নির্ঘণ্ট প্রকাশ


বিহারের কাটিহারের ছোট্ট একটি স্কুলে পড়াশোনা শুরু। মাধ্যমিক পড়াকালীন স্কুল বদল। ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি হয়ে যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন। ব্যর্থ হতে হয় প্রতি পদে। কিন্তু, ওই যে বলে ইচ্ছাশক্তি। সবসময় ভালো কিছু করার ইচ্ছা, তাঁর অবিরাম উন্নতিতে সহায়ক হয়। ইংরেজির ওপর বেশি জোর দেন। ফলও মেলে হাতেনাতে। ক্লাস টেনের বার্ষিক পরীক্ষায় নব্বই শতাংশের বেশি নম্বর নিয়ে পাশ করেন। 


ক্লাস টুয়েলভ পড়তে পাড়ি দেন দিল্লি। সেখানেও যেন হাজারের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন। পাশ করতে পারেননি অঙ্কে। হতাশ হয়েও ফিরে আসেন। তিনমাস আগে পুরোদমে পড়াশোনা শুরু করে ক্লাস টুয়েলভ লেভেলেও নব্বই শতাংশের বেশি নম্বর নিয়ে পাশ করেন।  


আরও পড়ুন-NEET PG Registration 2021: শুরু নিটের রেজিস্ট্রেশন, জানুন চলবে কতদিন


ভর্তি হন কলেজে। ইকনমিকস ছিল বিষয়। ধাক্কা খেতে হয়েছে বারংবার। বারদুয়েক ব্যাকও পেতে হয়। আশানুরূপ ফল মেলেনি কলেজে। গড়পড়তা নম্বর নিয়ে পাশ করেন। বলেছেন, এর পরও বিশ্বাস ছিল নিজের ওপর। জানতেন, কঠোর পরিশ্রমে খুলে যেতে পারে আই এ এস-এর দরজাও। শুরু করেন পড়াশোনা। 


পড়ুয়া থেকে চাকরিপ্রার্থী। বলা ভালো, IAS-প্রার্থী। কঠোর অনুশীলন শুরু হয়। যতদিন যায়, একটু একটু করে উন্নতি করতে শুরু করেন। ব্যর্থ হন। আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই শুরু করেন। থামেননি। নিজেকে থামতে দেননি। 


২০১৭ সালে সফল হন। র্যাঙ্ক ৬৭৭। এই রেজাল্ট মনঃপুত হয়নি। তাই আবার পরীক্ষায় বসেন। আর সেবার ৪৮ র্যাঙ্ক করেন।  


অনুরাগের টিপস-


IAS অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার থেকে আলাদা। তাই এই পরীক্ষায় বসার জন্য একাগ্রতা অন্যরকম হতেই হবে। প্যাশন চাই। গোটা প্রক্রিয়ার জন্য চূড়ান্তভাবে মোটিভেটেড থাকতে হবে। মাঝপথে হতাশ হওয়া চলবে না।  


তাড়াহুড়ো নয়। প্রথমে পরীক্ষা প্যাটার্ন থেকে নিজের পরিকল্পনা করে নিতে হবে ঠাণ্ডা মাথায়। তারপরে এগোতে হবে ধীরেসুস্থে। জার্নি শেষ না হওয়া পর্যন্ত থামা চলবে না। 


তথ্যসূত্র- এবিপি হিন্দি লাইভ


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI