কলকাতা: প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী IIT-তে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মাত্র গুটিকতক পড়ুয়াই এই সুযোগ পান। আর এবারে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ভাল র‍্যাঙ্ক অর্জন করেও তেলেঙ্গানার এক ছাত্রী IIT-তে ভর্তিই হতে চায় না। সে চায় ছাগল চরিয়ে যাতে তাঁর জীবন চলে যায়। পরিবারের আর্থিক অবস্থা মোটেও ভাল নয় তাঁর। আর কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য যে ফি দিতে হবে তা দেওয়ারও ক্ষমতা নেই তাঁর পরিবারের। তাই IIT-তে পড়ার সুযোগও হেলায় হারাতে দ্বিধা নেই পড়ুয়ার।


সংবাদসূত্র অনুযায়ী তেলেঙ্গানার সিরসিল্লা গ্রামের বাসিন্দা মধুলতা আদপে একজন তপশিলি উপজাতিভুক্ত ছাত্রী। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি, সেই পরীক্ষায় ভাল র‍্যাঙ্কও করেন তিনি। সারা দেশের মধ্যে ৮২৪ র‍্যাঙ্ক হয় তাঁর। আর তাঁর মাধ্যমেই আইআইটি পাটনাতে পড়ার সুযোগ পান মধুলতা। কিন্তু তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা এতটাই করুণ যে তাঁর পক্ষে আর উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত হওয়া হয়ে উঠবে না। কলেজের ফি দেওয়ার মত সামর্থ্যও নেই তাঁর পরিবারের। তাছাড়া ফি দেওয়ার শেষ দিনও রয়েছে খুব কাছেই।


কলেজের ফি দিতে সামর্থ্য নেই পরিবারের


সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি আলাপচারিতায় মধুলতার শিক্ষক বুক্ক্যা লিঙ্গম নায়ক জানিয়েছেন আদপেই অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত সেই ছাত্রী। তাঁর পরিবারের কাছে কলেজে পড়ানোর মত আর্থিক সামর্থ্য নেই। সাধারণ ডিগ্রি কলেজে পড়ানোর মতও সামর্থ্য এই পরিবারের নেই। আর পরিবারের ত্ররফে আর্থিক সাহায্য না পেলে মধুলতা আইআইটিতে পড়তে পারবে না। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মত কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও আইআইটিতে সুযোগ পেয়েও সে তার সদ্ব্যবহার করতে পারবে না।


২৭ জুলাই পর্যন্ত সময় আছে ফি জমা দেওয়ার


মধুলতার বাবা অসুস্থ। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার কেউ নেই। আর তাই মধুলতাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনি ছাগল চরিয়ে অর্থসংস্থান করবেন। কলেজ হস্টেলের ফি ও অন্যান্য সমস্ত খরচ জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৭ জুলাই পর্যন্ত। মধুলতাকে জমা দিতে হবে ৩ লক্ষ টাকা। তবেই তিনি আইআইটিতে পড়তে পারবেন। একটি সংবাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকারের তরফে মধুলতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।


আরও পড়ুন: 'এই জন্য মা ঝ্য়াঁটা দিয়ে মারতেন', ঝ্যাঁটার প্যাকেটে ক্যালরির ফিরিস্তি দেখে কপালে চোখ!


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI