NTA NET Exam: বুধবার ২৭ মার্চ একটি প্রকাশ্য বিবৃতি জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন জানিয়েছে যে, এবার থেকে নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী সারা দেশ জুড়ে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে ভর্তির জন্য আর আলাদা করে কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হবে না। ইউজিসি নেট পরীক্ষায় পাশ করলেই পিএইচডির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন প্রার্থী এবং নেট পরীক্ষার (UGC NET) নম্বরই হবে পিএইচডিতে ভর্তির মাপকাঠি। এর আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা আলাদা করে পিএইচডিতে ভর্তির যে পরীক্ষা নিত, তা এবার থেকে বাতিল হয়ে যাচ্ছে। সারা দেশ জুড়ে পিএইচডির ভর্তির জন্য নির্ণায়ক পরীক্ষা হবে ইউজিসি নেট।


পিএইচডিতে ভর্তির জন্য নেটের নম্বর লাগবে


ইউজিসির সম্পাদক অধ্যাপক মণীশ আর যোশী জানিয়েছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-এর প্রয়োগের জন্য ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্টের পদ্ধতির পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে তোলা হয় এবং সেই কমিটির সুপারিশে এবার থেকে পিএইচডিতে ভর্তির জন্য একটাই জাতীয় স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা থাকবে আর সেটা হল ইউজিসি নেট বা এনটিএ নেট (UGC NET)। ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ এই বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই ঠিক হয়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পিএইচডিতে ভর্তির জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা নেট পরীক্ষার স্কোর ব্যবহার করতে পারবে।


কীভাবে যোগ্যতা নির্ণয় হবে


এতদিন পর্যন্ত বছরে দুবার করে আয়োজিত হত এই ইউজিসি নেট পরীক্ষা, একটি হত জুন মাসে, অন্যটি ডিসেম্বরে। আর নেট পরীক্ষায় (UGC NET) পাশ করলে প্রার্থী জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ অথবা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হতেন। এই পদ্ধতিতে বদল এনেছে ইউজিসি। এবার থেকে নেট পাশ করলে তিনটি ক্যাটাগরিতে আলাদা আলাদাভাবে প্রার্থীরা যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।


প্রথম ক্যাটাগরি: আগের বা বর্তমান নিয়মানুসারে নেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের জন্য যোগ্য হবেন ছাত্র-ছাত্রীরা। জেআরএফ পাওয়া প্রার্থীরা সরাসরি একটি ইন্টারভিউর মাধ্যমেই পিএইচডিতে ভর্তি হয়ে যেতে পারবেন।


দ্বিতীয় ক্যাটাগরি:  জেআরএফ ছাড়াই পিএইচডির ভর্তির জন্য এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের জন্য যোগ্য হবেন ছাত্র-ছাত্রীরা


তৃতীয় ক্যাটাগরি: শুধুমাত্র পিএইচডিতে ভর্তির জন্যই যোগ্য এবং জেআরএফ বা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের জন্য যোগ্য নয়।


নেটের গ্রেড কার্ডেও বদল


এবার থেকে নেটের (UGC NET) ফলাফলে পার্সেন্টাইল থাকার পাশাপাশি প্রাপ্ত নম্বরের উল্লেখও থাকবে। আর এই নম্বরের সাহায্যেই ছাত্র-ছাত্রীরা পিএইচডিতে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন।


নম্বরের বিভাজন


দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্যাটাগরির জন্য নতুন নিয়মে পিএইচডিতে ভর্তির ক্ষেত্রে নেট পরীক্ষার নম্বর থেকে ৭০ শতাংশ এবং ইন্টারভিউর থেকে ৩০ শতাংশ নম্বর নিয়ে স্কোর তৈরি হবে প্রার্থীর। নেট পরীক্ষা ও ইন্টারভিউর যৌথ নম্বরের ভিত্তিতেই হবে পিএইচডিতে ভর্তি।


নেটের নম্বর কতদিন বৈধ থাকবে


নেটে পাওয়া নম্বর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্যাটাগরির ছাত্র-ছাত্রীর ক্ষেত্রে মাত্র ১ বছরের জন্যেই বৈধ বলে বিবেচিত হবে।  


আরও পড়ুন: Job News: ৪১টি শূন্যপদে লোক নেবে কোল ইন্ডিয়া, লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই হবে নিয়োগ- আবেদন করবেন ?


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI