ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, সিউডি: লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই বীরভূমে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে তৃণমূলে। সোমবারের পর মঙ্গলবারও সংখ্যালঘু সহ ৫৫টি পরিবার ঘাসফুল শিবির ছেড়ে যোগ দিল বিজেপিতে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দিলেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা।


মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনাটি ঘটে সিউডি এক নম্বর ব্লকের নগরী গ্রাম পঞ্চায়েতের বাতাসপুর গ্রামে। অভিযোগ, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। আজকে সন্ধ্যায় সেই ক্ষোভের প্রতিফলনই দেখা গেল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মধ্যে দিয়ে।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের মাঠেরবাঁধ গ্রাম থেকে তৃণমূল, কংগ্রেস ও সিপিএম ছেড়ে ৩০০ জন যোগ দেন বিজেপিতে। সিউড়ির পার্টি অফিসে তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন বীরভূম লোকসভার প্রার্থী দেবাশীষ ধর ও বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। নতুন দলে এসে এতদিন তাঁরা তৃণমূল থেকে কিছু পাননি বলেই দাবি করেন একাধিক সংখ্যালঘু ব্যক্তি।


আরও পড়ুন: Amit Shah on Mamata Banerjee Remark: 'ভাই-ছেলেদের চাকরির জন্য ১৫ লাখ টাকা আছে ?' মমতার মন্তব্যে পাল্টা শাহি-তোপ


তাঁদের মধ্যে সাবির আলি নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের প্রচুর কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু, এতদিনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা কোনও প্রকল্পের সুবিধাই তাঁরা পাননি। এমনকী গ্রামের যাঁরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় টাকা পেয়েছেন তাঁদের থেকেও ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। যাঁরা সামনে থেকে দলের হয়ে লড়াই করতেন তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে সাইডলাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কিছুই তো দেয়নি উলটে হেনস্থা করেছে। ফলে তাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।


অন্য আরেকজন জানান, কাটমানি ছাড়া কিছু বোঝে না তৃণমূলের নেতারা। যা কিছুই হোক না কেন তাতেই কাটমানি খেতে চলে আসে। এতদিন চুপ করে থাকার পর বাধ্য হয়ে তাঁরা দলবদল করেছেন।


আরও পড়ুন: Dev in Kushmandi: 'হিন্দু-মুসলিম, রাম-রহিম নয়, ভোট হোক কাজের নিরিখে', সুকান্তগড় থেকে বার্তা দেবের


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।