তমলুক: ভোটের আগে পুলিশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি, নন্দীগ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। পুলিশ ছয় বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। নন্দীগ্রামে ৪ হাজার পুলিশ ঢুকেছে বলেও দাবি করেছেন। ভোটের আগে পুলিশ সেখানে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন অভিজিৎ। শনিবার সকাল সকাল বুথেও পৌঁছে যান তিনি। (Abhijit Ganguly News)
শুক্রবার মধ্যরাতেই এবিপি আনন্দের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন অভিজিৎ। তিনি বলেন, "প্রায় হাজার চারেক পুলিশ বাহিনী নন্দীগ্রামে ঢুকেছে সোনাচূড়া দিয়ে। পরশু এক মহিলাকে যারা খুন করেছে, তারা পুলিশের সঙ্গে আছে। তারা রাতের বেলা বিজেপি কর্মীদের চিনিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ বিজেপি কর্মীদের তাড়া করে এলাকাছাড়া চালাচ্ছে, হাতে পাচ্ছে যাকে গ্রেফতার করছে।"(Voting in Tamluk)
অভিজিতের দাবি, এখনও পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কার্তিক দলুই নামের একজন মণ্ডল সভাপতির বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল, তাঁকেও নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে দাবি অভিজিতের। তাঁর বক্তব্য, "গভীর রাতে পুলিশি অত্যাচার চলছে। সভ্য় সমাজে এটা হয় না। ভোটের আগের দিন ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস চলছে। আমার কাছে অভিষেক এসেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের ভাইপো, তিনি এই কাজ নির্দেশ দিয়ে করাচ্ছেন। এর দায়িত্বে রয়েছেন একজন ডিজি। থানার অফিসাররা রাতে নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে। পরিকল্পিত ভাবে পুলিশ নামিয়ে, নিজেদের দালাল ফোর্স নামিয়ে এই কাজ করাচ্ছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভেবেছেন, গণতন্ত্র ধ্বংস করে তিনি ভোট করাবেন দালাল পুলিশকে দিয়ে? দেখা যাক কার কত ক্ষমতা।"
এর পর, শনিবার ষষ্ঠ দফায় ভোট শুরুর আগেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন অভিজিৎ। এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে জানান, রাতভর দলের নেতাকর্মীদের থেকে ফোন পেয়েছেন। পুলিশ সন্ত্রাস চালাচ্ছে, বিশেষ করে নন্দীগ্রামের খুনিরা বিজেপি কর্মীদের চিনিয়ে দিচ্ছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। যেনতেন প্রকারে ভোট বেশি পেতেই রাজ্যের তৃণমূল সরকার পুলিশকে দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে বলে দাবি অভিজিতের।
আজ ভোটগ্রহণ চলাকালীন দিনভর তিনি সক্রিয় থাকবেন বলেও জানিয়েছেন অভিজিৎ। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত হলদিয়া যাচ্ছেন তিনি। বুথে এজেন্ট বসানো নিয়ে সমস্যার কথা জানতে পেরেই সেখানে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। দিনভর যেখান থেকে অশান্তির খবর আসবে, সেখানেই যাবেন বলে জানিয়েছেন। এই লড়াই 'প্রেস্টিজ লড়াই'য়ে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিষয়টিকে প্রেস্টিজের লড়াইয়ে পরিণত করেছেন।