হিন্দোল দে ও প্রকাশ সিনহা, ভাঙড়: উত্তপ্ত ভাঙড়ে আরাবুল ইসলামের (Arabul Islam) ঘনিষ্ঠের (Son Of Arabul Islam) গাড়িতে মিলল বোমা (Bomb Recovery)। গাড়ির ড্যাশবোর্ড থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়। কোথা থেকে এল এটি? গাড়ির ড্যাশবোর্ডে বোমা নিয়ে কোথায় যাওয়া হচ্ছিল? উঠছে প্রশ্ন।
কী বলছেন আরাবুল?
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতাকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর জবাব, বোমাটি উদ্দেশ্য়প্রণোদিত ভাবে গাড়িটির ড্যাশবোর্ডে রেখে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কারা রেখেছে? ইঙ্গিত আইএসএফের দিকে। বস্তুত, মঙ্গলবার আইএসএফের মনোনয়ন ঘিরেই রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। দফায় দফায় বোমাবাজি হয়, ছোড়া হয় গুলি। মনোনয়ন দিতে এসে বিডিও অফিসের কাছেই গুলিবিদ্ধ হন আইএসএফ প্রার্থী। ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির অভিযোগ, পুলিশের সামনেই তাণ্ডব চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এদিনের অশান্তিতে পুলিশের এক এসআই-ও আহত হন বলে খবর। উত্তপ্ত ভাঙড়ে আরাবুল ইসলামের গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে দাবি। যে বিডিও অফিসে মনোনয়ন পর্ব চলছে, তার ৫০ মিটার দূরেই বাজার এলাকা। সেখানে দাঁড় করানো তিন-তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে শতাধিক বোমা ও ৭ রাউন্ড গুলি চলেছে বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকায়। বোমার স্প্লিন্টারে বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশকে লক্ষ্য করেও বোমাবাজি ও ইটবৃষ্টি হয়। বোমার মুখে পিছু হঠে পুলিশ। কাশীপুর থানার আহত এসআইয়ের দাবি, আইএসএফ কর্মীরা কাচের বোতল ছোড়ে। আইএসএফ প্রার্থীদের লাথি মারতে দেখা যায় পুলিশকে। লাঠিচার্জ করা হয়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। আইএসএফ প্রার্থীদের অভিযোগ, মনোনয়ন আটকাতে তাঁদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে তৃণমূলের দুষকৃতীরা। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির দাবি, বোমাবাজির খবর দিতে আসায় তাঁকে আটক করা হয়েছে। বোমা বাঁধার সময় আটক, দাবি পুলিশের। ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির দাবি, তাঁদের প্রার্থীদের মনোনয়ন আটকাতেই তৃণমূল হামলা চালায়। ভাঙড়ের ঘটনায় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।
মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা...
বস্তুত, মনোনয়ন-পর্ব ঘিরে টানা অশান্তি চলছেই। গত কাল কাকদ্বীপে উত্তেজনা ছড়ায়। কংগ্রেস প্রার্থী শিবানী দাসকে বিডিও অফিস চত্বরেই বাধা, নথি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশকে জানালেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। জয়েন্ট বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানান কংগ্রেস প্রার্থী। পাশাপাশি, বিজেপি প্রার্থীদেরও মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে বেআইনি জমায়েত হঠিয়ে দেয়। এর পর আজ তেতে ওঠে ভাঙড়।
আরও পড়ুন:নতুন বাড়ি তৈরির সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন, অন্যথা হতে পারে ক্ষতি !