কলকাতা :  '' আপনার আমার সবার ফোন ট্যাপ '' ...  এবিপি আনন্দকে দেওয়া মুখোমুখি সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে, ভাইরাল অডিও টেপ যুযুধান পক্ষদের কাছে আক্রমণের হাতিয়ার হয়ে ওঠে। সেই প্রসঙ্গ উঠে আসে মুখোমুখি সাক্ষাত্কারে। 


 নির্বাচনের আগে তাঁর সঙ্গে দলত্যাগী এক নেতার কথোপকথনের অডিও টেপ ভাইরাল হয়। তার ঠিক পরেই হইচই পড়ে যায় আরও একটি রেকর্ডেড টেলিফোনিক কথোপকথন নিয়ে। ভাইরাল হয় দুই শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতার টেলিফোনিক কথোপকথনের রেকর্ডিং।


এই প্রসঙ্গে কথা হতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, তাঁর ফোন নিয়মিত ট্যাপ করা হয়। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কিছু এজেন্সি ইজরায়েল থেকে ফোন ট্যাপ করার মেশিন এনেছে। তাতে সব রেকর্ড হয়ে যায়।

তিনি বলেন, একবার বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং অন্যান্য কয়েকজন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন । কিছু কিছু বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয় ।  মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, পরবর্তীকালে তাঁদেরকেও সেই কথোপকথনের রেকর্ডিং অন্যান্য জায়গায় গিয়ে শোনানো হয়।


 


আরও পড়ুন :


অভিনয়ের জন্য সম্মান করি, কিন্তু মানুষের জন্য কবে কাজ করেছেন? নাম না করে মমতার নিশানা মিঠুনকে


 


মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন বিভিন্ন সময় প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত স্তরে অনেক কথা বলে থাকেন যাকে ক্যাজুয়াল কথাবার্তা বলা চলে। তা যদি কেউ রেকর্ডিং করে ভাইরাল করে দেয় তাহলে তো মুশকিল !


বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুই বিজেপি নেতার কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয় গেরুয়া শিবিরের দাবি রেকর্ডিং এর নেপথ্যে আছে তৃণমূল।  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এই দাবি কার্যত নস্যাৎ করে দিয়ে বলেন তৃণমূল কংগ্রেস কেন এই কাজ করতে যাবে বরং তারা খোঁজ নিয়ে দেখুক কারা এর নেপথ্যে। খোঁজ করলেই জানা যায়, কোন সোর্স থেকে রেকর্ড করা হচ্ছে ফোন। 

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁদের কাছেও বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে যায়, এমন অনেক ভিডিও বা অডিও আছে। সৌজন্যের খাতিরেই তা প্রকাশ্যে আনা হয় না।