ডায়মন্ড হারবার: 'ওঁর এত ভয় কেন?...করিডোরের ভিডিও দেখান। আপনার চেম্বার থেকে যখন অভিযোগকারিণী (Diamond Harbour TMC Candidate Abhishek Banerjee) বেরোচ্ছেন, ক্ষমতা থাকলে সেই ভিডিও প্রকাশ করুন', মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে (Abhishek Banerjee Jibe At Governor CV Ananda Bose) একহাত ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বিশদ...
গত কাল, বৃহস্পতিবার, শ্লীলতাহানির অভিযোগে, সিসিটিভি-র ফুটেজ সামনে আনার কথা ঘোষণা করেছিল রাজভবন। তাদের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল 'এক্স'-এ এই নিয়ে পোস্ট করা হয়েছিল যাতে লেখা হয়, যে দিন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ, সেই দিনের ছবি জনসমক্ষে আনা হবে। মেল করলে প্রথম ১০০ জন দেখতে পারবেন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বা তাঁর পুলিশ এই ফুটেজ পাবে না। কারণ পুলিশ বেআইনি ও অসাংবিধানিক তদন্ত করছে।' সেই ফুটেজের প্রেক্ষিতে, এদিন অভিষেক বলেন, 'এই যে সিসিটিভি ফুটেজ উনি দেখিয়েছেন... অভিযোগকারিণীকে ছোট করেছেন, অসম্মানিত করেছেন। এক মহিলার শ্লীলতাহানি করে, তাঁর যৌন হেনস্তা করে... তিনি যখন কাঁদতে কাঁদতে পুলিশের আউট-পোস্টে অভিযোগ করতে যাচ্ছেন, সেই ফুটেজ দেখাচ্ছেন কেন? করিডোরের ভিডিও দেখান। আপনার চেম্বার থেকে যখন অভিযোগকারিণী যখন বেরিয়েছেন, ক্ষমতা থাকলে সেই ভিডিও প্রকাশ করুন।' সঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী আরও বলেন, 'আপনি সংবাদমাধ্যমের কয়েকজন প্রতিনিধিকে বেছে নিয়েই দেখান, তৃণমূলকে দেখাতে হবে না। আইনি পথে আপনার বিরুদ্ধে কিছু করা যায় না বলে যা ইচ্ছা তাই করবেন? আপনি আইনের ঊর্ধ্বে? আপনার মেয়ের থেকেও ছোট, এতটা নিষ্কৃষ্ট। এঁদের বিরুদ্ধে যত কম বলা যায়, তত ভাল।'
আর যা...
এখানেই থামেননি অভিষেক। কথা-প্রসঙ্গে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কথাও তোলেন তিনি। বলেন, 'এর আগেও বহু রাজ্যপাল দেখেছি। বাংলা-বিরোধী রাজ্যপাল দেখেছি। আগে জগদীপ ধনখড় ছিলেন। কিন্তু এত নিচে যে কেউ নামতে পারেন যে মেয়ের বয়সি একজনকে চাকরি দেওয়ার নাম করে শ্লীলতাহানি করতে পারে?... আমি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি বলে যা ইচ্ছা তাই করব, হতে পারে না।' অভিষেকের হুঙ্কার,' উনি বলেছেন, তৃণমূলের কাউকে রাজভবনে ঢুকতে দেবেন না। আরে বাংলার কেউ রাজভবনে যাবেন না, যত দিন আপনি পদে রয়েছেন।' প্রসঙ্গত, রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে CCTV ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। অনুসন্ধানের জন্য রাজভবনে কর্মরত ৩ জনকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় আসতে বলা হলেও কেউই আসেননি। তবে, রাজভবনে কর্মরত কলকাতা পুলিশের একজন কর্মী হেয়ার স্ট্রিট থানায় যান।
আরও পড়ুন:'চাকরি খেয়ে মিথ্যা কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী', পুরুলিয়ায় জনসভায় তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
'