গৌতম মণ্ডল, মথুরাপুর: লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়াতে শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। এবার তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মারামারিতে (TMC-BJP clash) উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 parganas) মথুরাপুরের (Mathurapur) কৃষ্ণচন্দ্রপুরে। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের জেরে এখনও পর্যন্ত দুটি দলের মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে মারামারিতে জখম হয়ে সঙ্কটজনক অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালের ICU-তে ভর্তি রয়েছেন কৃষ্ণচন্দ্রপুরের বুথ সভাপতি নিমাই হালদার। বুধবার তাঁকে দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে আসেন মথুরাপুরের বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) অশোক পুরকাইত। সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য বিজেপি নেতারাও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে নিমাইকে আক্রমণ করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী মধুসূদন ঘোষ, চন্দন ঘোষ ও নন্দন ঘোষের বিরুদ্ধে। নিমাইকে কোদালের বাঁট দিয়ে পেছন থেকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেইসময় তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে নিমাইয়ের স্ত্রী ও মেয়ে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নিমাইয়ের স্ত্রী মথুরাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে ঘোষ পরিবারের পক্ষ থেকেও মারধরের পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে। নিমাই হালদারের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মধুসূদন ঘোষ ও চন্দন ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। উল্টোদিকে তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছে অনন্ত গায়েন। তবে অনন্ত নির্দোষ বলে দাবি নিমাইয়ের পরিবারের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। নিমাই নিজের বুথে ২৫০ ভোটে জয় পান। তাই লোকসভার আগে তাঁকে মারধর করে বিজেপিকে আতঙ্কে রাখার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। যদিও ওই এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থী বাপি হালদার রাজনৈতিক হিংসার কথা মানতে চাননি। পারিবারিক বিবাদের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন।
গত সোমবার থেকেই মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়ানোর খবর আসছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে উত্তেজনার পারদও চড়তে শুরু করবে।