Purba Bardhaman:সিপিএম নেতার বাড়ি ও গাড়িতে হামলার অভিযোগে তুলকালাম গলসিতে

CPM leader House Attacked:সিপিএম নেতার বাড়ি ও গাড়িতে হামলার অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম পূর্ব বর্ধমানের গলসি ২ নং ব্লকের মহড়া গ্রামে

Continues below advertisement

কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: সিপিএম নেতার (CPM Leader House Attacked) বাড়ি ও গাড়িতে হামলার অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম পূর্ব বর্ধমানের গলসি ২ নং ব্লকের মহড়া গ্রামে। অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনা ঘিরে এলাকায় রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়ে যায়। জখম অন্তত ৩ জন।

Continues below advertisement

কী অভিযোগ?
সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক সৈয়দ হোসেনের অভিযোগ, ভোটের আগে গ্রামের ভোটারদের সন্ত্রস্ত করতেই এই হামলা। এদিন গলসি ২ নম্বর এরিয়া কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ চৌধুরীর বাড়ি, গাড়ি, ট্রাক্টর ও যাত্রিবাহী বাসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। নিশানায় শাসক দল। আক্রান্ত পরিবারের দাবি, পুরনো মামলা না তোলায় রাতের বেলা আচমকা তাঁদের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। তার পরই অমরনাথ চৌধুরী নেতৃত্বে ২০-২৫ জন তাঁদের বাড়িতে রড, লাঠি বাঁশ, নিয়ে হামলা চালাতে শুরু করে। এমনকি বাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় চারচাকা গাড়ি,বাস ও ট্রাক্টরও। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গলসি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সেখ সাবিরউদ্দিন। বলেন, 'এটা পুরনো পারিবারিক ঝামেলা।তাদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়।দোষ ঢাকতে নিজেদের গাড়িতে ও বাড়িতে ভাংচুর চালিয়েছে তারা।' একই দাবি, অভিযুক্ত অমরনাথ চৌধুরীর পরিবারের। তাঁরা বলেন, 'এটা পুরনো পারিবারিক ঝামেলা।' এতেই শেষ নয়। তাঁদের বাড়িতেও হামলা চলেছে বলে অভিযোগ। দোষ ঢাকতে নিজেদের গাড়িতে ও বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, বলেও বক্তব্য তাঁদের। উল্টো দিকে, সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক সৈয়দ হোসেনের দাবি, ভোটের আগে তাঁদের দলীয় কর্মীদের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে লোকসভা ভোটের প্রচারে বাধা দিতেই এই 'হামলা।'

যা যা ঘটল...
ইটের আঘাতে বাড়ির বেশ কয়েকটি জানালার কাচ ভাঙে। বিশ্বজিৎ চৌধুরীর পরিবারের তিন জন জখম হয়েছেন বলে খবর। ঘটনাস্থলে গলসি থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ভোটের আগে-পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর উপর হামলার অভিযোগ এই রাজ্যে নতুন নয়। গত পঞ্চায়েত ভোটেও এর কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার থেকে নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সর্বত্র মৃত্যুমিছিল দেখা দেয়। ভোটের আগে, ভোট চলাকালীন এবং ভোটের পরেও হিংসা থামেনি। এবার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার সময়ই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল, অশান্তি ঠেকাতে বদ্ধপরিকর তারা। এর পর কী হয়, সেটাই দেখার।

 

আরও পড়ুন:দিল্লি দখলের লড়াইয়ের নির্ঘণ্ট প্রকাশ, ভোট শুরু ১৯ এপ্রিল, আপনার এলাকায় ভোট কবে

  

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola