অনির্বাণ বিশ্বাস ও সুদীপ চক্রবর্তী: কংগ্রেস প্রার্থীর হাতে টাকা তুলে দিলেন এক তৃণমূল কর্মী (TMC Worker)। ভোট প্রচারের জন্য সেই টাকা দিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীর দাবি, এই কংগ্রেস (Congress Candidate) প্রার্থী এবং তাঁর পরিবার কোনওদিন কোনও মানুষের কাছ থেকে এক টাকাও নেননি। রায়গঞ্জের ওই তৃণমূল কর্মী পেশায় প্রাক্তন শিক্ষক। তিনি নিজে পাঁচ হাজার টাকা ও তাঁর জামাইয়ের দেওয়া ২ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন প্রার্থীর হাতে। আর যাঁর হাতে টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে তিনি রায়গঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রামজ। 


ইদের দিন বঙ্গ রাজনীতি সাক্ষী থাকল এক বিরল ঘটনার। প্রচারের জন্য় কংগ্রেস প্রার্থীর হাতে টাকা তুলে দিলেন এক তৃণমূল কর্মী। বিরল এই ছবি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের। দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী দলগুলো সংঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ইন্ডিয়া জোট তৈরি করলেও। বাংলায় একলাই লড়ছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এই প্রেক্ষাপটেই রায়গঞ্জের বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রামজের প্রচারের জন্য় নিজে ৫ হাজার টাকা ও জামাইয়ের দেওয়া ২ হাজার টাকা তুলে দিলেন প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক তৃণমূল কর্মী রফিক আলম। প্রচার না থাকায় এদিন বাড়িতেই ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। তাঁর বাড়িতে গিয়েই টাকা তুলে দেন প্রাক্তন শিক্ষক ওই তৃণমূল কর্মী রফিক আলম। তিনি বলেন, 'এঁর বাবাও কোনও দিন টাকা নেননি মানুষের কাছ থেকে বা কোনওরম দুর্নীতি করেননি বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়াননি উনি। ইনিও এরকম। একটা টাকাও কিন্তু এদের কাছে নেই। বিজেপি সরকার কংগ্রেসের যে অ্য়াকাউন্ট ওটাকে বন্ধ করে দিয়েছে। টাকা এমনিতে ওঁরা পাচ্ছেন না।' যদিও তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি তো তৃণমূল। আমি তো এখনও তৃণমূল।'


আলি ইমরান রামজ ওরফে ভিক্টরের বাবা ছিলেন গোয়ালপোখরের ফরওয়ার্ড ব্লকের দীর্ঘদিনের বিধায়ক রমজান আলি। কাকা হাফিজ আলম সৈরানি বাম আমলে রাজ্য়ের মন্ত্রী ও ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক ছিলেন। সেই পরিবারের সন্তান আলি ইমরান রামজ ওরফে ভিক্টরকে এবার বামেদের সমর্থনে রায়গঞ্জে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। 


বেশ কিছুদিন আগে আয়কর দফতর কংগ্রেসের একাধিক অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সরব হয়েছিলেন সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণতার অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। এমন অবস্থায় স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী এভাবে টাকা তুলে দেওয়ায় অভিভূত আমি  ইমরান রামজ। রায়গঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী বলেন, 'আমি মাস্টারমশাইকে ধন্য়বাদ দেব। অনেক ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ আমাকে দিচ্ছে। এটাই আসল পাওনা। রাজনৈতিক জীবনে আমি কী করেছি বা করব সেটা আমি জানি না। কিন্তু, মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। এটাই মনে হয় জীবনে রাজনীতিতে প্রবেশ করার পরে আমি রাজনীতিতে যদি কিছু করেছি, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস শেয়ার করা যাবে ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে, আসছে নতুন ফিচার