সন্দীপ সরকার, কলকাতা: গাঙ্গুলিবাগানে (Loksabha Election 2024 7th Phase Voting) নাক ফাটল মহিলা সিপিএম কর্মীর। বাঁচাতে গিয়ে ঘুষি খেয়ে জখম হলেন এক প্রবীণ সিপিএম কর্মী। কলকাতা পুরসভার ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্তরঞ্জন কলোনির ঘটনা।         


গাঙ্গুলিবাগানে ফের আক্রান্ত সিপিএম: ভোটের আগের যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের গাঙ্গুলিবাগানে ৩ জন প্রবীণ সিপিএম কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোটের দিনও বদলাল না ছবিটা সিপিএমের অভিযোগ, সকাল থেকে এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে তৃণমূলের বাইক বাহিনী। ঘটনা কলকাতা পুরসভার ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্তরঞ্জন কলোনির। নাক ফেটে যায় এক মহিলা সিপিএম কর্মীর। অভিযোগ বাঁচাতে গেলে ঘুষি মারা হয় এক প্রবীণ সিপিএম কর্মীকে। পরে যাদবপুর থানার পুলিশ গেলে আক্রান্ত মহিলা সিপিএম কর্মীর সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। এদিনই পুরসভার ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দেখতে যান সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। ফের ক্যাম্প অফিস বসালেন সৃজন। সিপিএম প্রার্থীর হুঁশিয়ারি, 'যত ক্যাম্প অফিস ভাঙবে তত ক্যাম্প অফিস বসাব।'                     


গাঙ্গুলিবাগানে একাধিকবার গন্ডগোল: গতকাল গাঙ্গুলিবাগানের রবীন্দ্রপল্লিতে তিন জন প্রবীণ সিপিএম কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত হন সিপিএম কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের পোলিং এজেন্টের স্বামীও। প্রবীণ সিপিএম কর্মী প্রণব দাস ও শান্তি সাহাকেও বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত সিপিএম কর্মী শান্তি সাহার মেয়ে বলেন, "বাবা অসুস্থ, ব্যাথিত, পুলিশ কোনও সহযোগিতা করছে না। এরপর আমার ওপর হামলা হবে।'' ভোটপ্রচার পর্বে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল সিপিএম। সেটাও ছিল এই গাঙ্গুলিবাগানেই। গত ২২ মে সিপিএমের সভাস্থলের সামনেই তৃণমূলের মাইক। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গাঙ্গুলিবাগান। গাঙ্গুলিবাগান মোড়ে সিপিএমের সভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয় নির্বাচন কমিশন থেকে সভা করার অনুমতি আগে দিয়েছে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Loksabha Election 2024: মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, ক্যানিংয়ে রক্তাক্ত ভোটার