হিন্দোল দে, কলকাতা: পাটুলিতে ক্যানসার আক্রান্ত সিপিএম কর্মীকে (CPM Woreker) মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যর নেতৃত্বে পাটুলি থানার সামনে বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ করেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। ভয় পেয়েছে বলেই হামলা, তৃণমূলকে আক্রমণ সৃজন ভট্টাচার্যর। 


সিপিএম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ: যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের আগে পাটুলিতে অশান্তি। ক্যানসার আক্রান্ত সিপিএম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে।  সিপিএম কর্মী অভীক চৌধুরীর দাবি, শুক্রবার কলকাতা পুরসভার ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে পথসভার আয়োজন করে সিপিএম।  অভিযোগ, সভাস্থলে মাইকের তার কেটে দেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। প্রতিবাদ করায় প্রথমে হুমকির মুখে পড়তে হয়। ওই সিপিএমন কর্মী বলেন, “মাইকের তার খুলে দেওয়া তার প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই প্রতিবাদ করাতেই তার সূত্রপাত হয় যে, এইখানে আর সিপিএম করা যাবে না। সিপিএম করতে হলে, বাড়িতে গিয়ে করতে হবে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে তুমি সিপিএম করতে পারবে না।’’


ক্যান্সার আক্রান্ত সিপিএম কর্মীর অভিযোগ,দ্বিতীয়বার প্রতিবাদ করায় মারধর শুরু করেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সুজয় মিত্র। কোনওমতে পালিয়ে বাঁচেন ওই সিপিএম কর্মী। অভীক চৌধুরী বলেন, “আমার ঘাড়ে প্রথমে একটা মারে। তারপর মাথার মধ্যে মারে। যখন মাথার মধ্যে মারে, ঘাড়ের মধ্যে মারে তখন আমি আবার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। প্রতিবাদ করাতে তখন আরও ৬-৭ জন দুষ্কৃতী। তাদের মধ্যে কয়েকজন বহিরাগত ছিল, সেই দুষ্কৃতীকে নিয়ে আমাকে তাড়া করে।’’

এই ঘটনায় শনিবার পাটুলি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সিপিএম কর্মীরা। রাস্তায় বসে পড়ে শুরু হয় অবরোধ। সেখানে যান যাদবপুর লোকসভার সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস মুখে যতই গণতন্ত্রের কথা বলুক, তৃণমূল তৃণমূলেই আছে। ভয় না পেলে, ভয়ে হাঁটু ঠকঠক করে না কাঁপলে কেউ ক্যান্সার আক্রান্তের গায়ে হাত দেয় না। আমরা আরও কনফিডেন্ট হলাম। ওই এলাকার মানুষ দেখলেন যে, তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তৃণমূল যা করল, তাতে ওই এলাকায় আমাদের ভোট আরও বাড়বে।’’ এই ঘটনায় পাটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Corona Update: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন প্রজাতি, বাংলায় আক্রান্ত ৩০