সৌমেন চক্রবর্তী, পার্থপ্রতিম ঘোষ , ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, পশ্চিম মেদিনীপুর : আগামী শনিবার ভোট মেদিনীপুরে ( Medinipore )। আর তার আগেই মেদিনীপুর জুড়ে পুলিশের তল্লাশি, ধরপাকড়। বিজেপি নেতাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেল পুলিশ। কোলাঘাট, খড়গপুর টাউন, মেদিনীপুর শহর, একরাতের মধ্য়ে, শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি থেকে হিরণের আপ্ত সহায়কের বাড়িতে পৌঁছে গেল পুলিশ। মেদিনীপুরের আরও  ২ বিজেপি নেতার বাড়িতে হানা দিল পুলিশ। শুধু তাই নয় এরইমধ্য়ে, দলীয় কর্মীকে মারধরের অভিযোগে, ভোটের আগে খড়গপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অসম থেকে বাংলায় ভোট-প্রচারে আসা দুই বিজেপি নেতাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল কেশিয়াড়ি থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। 


ভোটের ৩ দিন ঘাটালের বিজেপি (BJP )প্রার্থীর আপ্ত সহায়ক তমোঘ্ন দে-র বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সে-সময় বাড়ি ছিলেন না তমোঘ্ন। তা সত্ত্বেও রাত তিনটে নাগাদ বাড়িতে হানা দেয় ঘাটাল থানার বড়বাবু ও তার বিরাট বাহিনী। অভিযোগ, বাড়িতে অসুস্থ মা। তার তোয়াক্কা না করেই পুলিশ দরজায় ধাক্কা মারতে থাকে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছান হিরণ। তার সঙ্গে ঘাটাল থানার ওসির তুমুল বাগবিতণ্ডা বেঁধে যায়। 


এছাড়াও মেদিনীপুরে আরও  ২ বিজেপি নেতার বাড়িতে পুলিশি হানা। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সৌমেন মিশ্র এবং ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষের বাড়িতেও পুলিশ গভীর রাতে হানা দেয়। কী কারণে অভিযান, তা নিয়ে মুখ খোলেনি পুলিশ। যদিও হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক লাইভে ঘাটাল থানার OC শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, প্রতারণার অভিযোগের তদন্ত করতেই এই অভিযান। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের তুমুল বাদানুবাদ হয়।  


এরই মধ্যে দলীয় কর্মীকে মারধরের অভিযোগে এদিনই খড়গপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত তারকেশ্বর রাও খড়গপুর শহরের ২ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি। ধৃতের পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ খড়গপুর শহরের মাঠপাড়ার বাড়িতে হানা দেয় খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। পাঁচিল টপকে, দরজা ভেঙে তারা বাড়িতে ঢোকে। কী কারণে গ্রেফতার তাও জানানো হয়নি বলে ধৃত বিজেপি নেতার পরিবারের দাবি। পুলিশ জানিয়েছে, গত মাসে এক দলীয় কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপি মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগেই গ্রেফতার। 


এখানেই শেষ নয়। অসম থেকে বাংলায় ভোট-প্রচারে আসা দুই বিজেপি নেতাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে কেশিয়াড়ি থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। গত ১১ মে থেকে কেশিয়াড়ি বিধানসভা এলাকায় প্রচার করছেন অসমের হাইলাকান্দি পুরসভার চেয়ারম্যান-সহ ২ জন। অভিযোগ, গতকাল কেশিয়াড়িতে যে হোটেলে তাঁরা ছিলেন সেখানে তিন-তিনবার হানা দেয় পুলিশ। চতুর্থবার এসে কেশিয়াড়ি থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে ৯-১০ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় দুই বিজেপি নেতাকে।


আরও পড়ুন : 


রেমাল এখন কি পরিস্থিতিতে ? কেন এমন নামকরণ? মানেই বা কী?