বিটন চক্রবর্তী, তমলুক: এবার তমলুকে ইভিএমে কারচুপির চেষ্টার অভিযোগ। সপ্তম দফা ভোটের (Loksabha Election 2024) আগে তমলুকে স্ট্রংরুমের আশেপাশে কয়েকজনকে দেখা যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, সংশ্লিষ্টদের হাতে ছিল ওয়াকিটকি।
ইভিএমে কারচুপির চেষ্টার অভিযোগ: সপ্তম দফা ভোটের আগে ইভিএমে কারচুপির চেষ্টার অভিযোগ ঘিরে তপ্ত হয়ে উঠল তমলুক। গত শনিবার ষষ্ঠ দফায় ভোট হয়েছে তমলুকে। অভিযোগ, গতকাল রাতে কয়েকজনকে স্ট্রংরুমের আশেপাশে ঘুরতে দেখা যায়। তাদের হাতে ওয়াকিটকি ছিল বলেও দাবি করছেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হওয়ায় তাদের ঘিরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোলাঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও যান। তার মধ্যেই কোনওরকমে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "আইপ্যাকের ছেলেরা কোনও প্রবলেম করার জন্য আসছিল। কোনও কারণে গণনার দিনে কোনও গন্ডগোল, কোনওরকম আর্মস ছিল। যদি আর্মস নাও থাকে, তাহলে এখানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল কেন? আইপ্যাকের ছেলেরা ছিল বলেই শোনা যাচ্ছে।''
এর আগে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্য়ায়ের যাওয়া ঘিরে হুগলিতে স্ট্রং রুমের সামনে উত্তেজনা ছড়ায়। লকেট চট্টোপাধ্য়ায়কে গো ব্য়াক স্লোগান দেয় তৃণমূল। পাল্টা জয় শ্রী রাম স্লোগান দেয় বিজেপি কর্মীরা। স্থানীয় এইচআইটি কলেজে স্ট্রং রুমে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য় পুলিশের নিরাপত্তা বলয়ে রয়েছে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের ইভিএম। স্ট্রং রুমের পিছনের দিক সুরক্ষিত নয় বলে অভিযোগ তুলে রিটার্নিং অফিসারকে চিঠি লেখেন লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। এরপর ইভিএমের সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে স্ট্রং রুমে পৌঁছে যান বিজেপি প্রার্থী। খবর পেয়ে কলেজের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। তার আগে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ অভিযোগ করেন, স্ট্রং রুমের সিসিটিভি বদল করে ইভিএম বদলানোর ছক কষছিল রাজ্য পুলিশ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশকে সহযোগিতার অভিযোগ তোলেন তিনি।
ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে পুলিশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, নন্দীগ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। সব মিলিয়ে ৬ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেন, সোনাচূড়া দিয়ে নন্দীগ্রামে ঢুকেছে রাজ্য পুলিশের বাহিনী। নন্দীগ্রামে ৪ হাজার পুলিশ ঢুকেছে। ভোটের আগেই পুলিশের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস, DG পদ মর্যাদার এক অফিসারের নেতৃত্বে সব হচ্ছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: 'বিজেপি এলে তদন্তকারী অফিসারকে সাসপেন্ড করব' পুলিশকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর