অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: মানিকতলা বিধানসভা উপনির্বাচনে (Maniktala By Election) তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে (Supti Pandey ABP Ananda Exclusive)। সূত্রের খবর, মেয়ে শ্রেয়াকে ভোটের কাজ থেকে বাইরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী। এই নিয়ে কী ভাবছেন সুপ্তি? এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ...



আপনাকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কী মনে হচ্ছে?
ভীষণ দায়বদ্ধতা থাকবে...সাধন পাণ্ডের কথা দূরদূরান্তের মানুষ জানতেন। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে তাঁকে ব্যক্তি হিসেবে এবং তাঁর পরিষেবা সম্পর্কে অনেকে জানতেন। নিশ্চিতভাবেই তিনি যতটা বিশ্বাসযোগ্য ভাবে কংগ্রেস করেছেন, ততটাই বিশ্বাসযোগ্য ভাবে তৃণমূল করেছেন...তাঁর দৌলতেই প্রতি মানুষ, প্রতি কর্মীর বাড়ি আমি চিনেছি। পুরোটা হাতের তালু মতো চিনেছি। তাই আমাদের দায় আর অন্য, আনকোরা কারও দায় তো একরকম হতে পারে না। 


স্মৃতিচারণ...
মমতার সঙ্গে আমার আলাপ...ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এ পড়তে গেল। আমি সায়েন্স কলেজে সাইকোলজিতে এম.এস.সি-র জন্য এগোতে থাকলাম। তখন দুজনেই ভাবছিলাম, বি.এড করব। অধ্যাপক হব। তখন শিক্ষকতার পেশার কথাই ভেবেছি। ঘুণাক্ষরেও জানতাম না, মমতা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সেই জায়গা থেকে আমাদের বন্ধুত্ব, গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে। আমাদের দু'একটা কমন ক্লাসে দেখা হত। তার উপর দু'জনেই বন্দ্যোপাধ্য়ায়, আবার কালীঘাটেরও একটা যোগসূত্র রয়েছে।  


কুণাল ঘোষ ও অনিন্দ্য রাউত সম্পর্কে...
দল যদি কাউকে দায়িত্ব দেয়, করুক। কুণালের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অনিন্দ্যর সঙ্গে আমার কথা হয়নি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে নিশ্চয়ই দায়িত্ব বুঝে নেবেন। আপনারা জানেন যে মানিকতলা এলাকার বাসিন্দারা এই নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। খালিয়ে তাঁদের হুইসল দিলেই রেডি, স্টেডি, গো...


বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা...
প্রথম থেকেই সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, সে অধিকার সকলের রয়েছে। তাপস যেদিন সুদীপদার বিরুদ্ধে নামলেন, সেদিন আমার হাতে শরবত জল গিয়েছিলেন। এই সম্পর্কগুলি যেখানে যা রয়েছে থাক। যে যাঁর নীতি নিয়ে চলুন। এখানে তো দূরদূরান্ত পর্যন্ত বিজেপির কেউ এসে কাজ করেননি...গত দু-তিন বছর যে সাধনবাবু নেই, এলাকাটা আগলেছিল শ্রেয়া। প্রত্যেকে, যত কর্মী রয়েছেন, সকলে জানেন। সেখান থেকে আমার পরে জনসংযোগে সুবিধা হয়েছে। আর এখনও পর্যন্ত সেটা ধরে রেখেছি।   
শ্রেয়া পাণ্ডে সম্পর্কে...
মা-রা সব সময়ই চান, যোগ্যতা থাকলে সন্তান যেন এগিয়ে যেতে পারে। দলের সুপ্রিমোকে অগ্রাহ্য করে আমরা কিছু করতে পারি না। আগামীদিন শ্রেয়ারই, সে কথা মমতা দিয়েছেন...উনি বলেছেন, '২৬-র টা আমি দেখে নিই। সে সময় বলেছি, শ্রেয়ার কথা মাথায় রাখতে হবে। মমতা বলেছেন, নিশ্চয়ই। আমি সমস্ত তরুণ-যুবদেরই সুযোগ দেব...তাঁরা সকলে কাজটা ভাল করে শিখে নিন। একটা বার্তা অবশ্যই দেব, শ্রেয়া ঝাঁকের কই নয়। 


 


আরও পড়ুন:হাওয়া ঘুরবে, ছাব্বিশে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে BJP ! বিজেপির বিপর্যয়ের মধ্যেও আত্মবিশ্বাসী সুকান্ত