প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: একুশের ছায়াই কি ফিরল তেইশে ? প্রায় ৩৯ দিন ধরে ঘরছাড়া কৃষ্ণনগর ২ ব্লকের তাতলা পঞ্চায়েতের খাজুরি গ্রামের ৫টি কংগ্রেস পরিবার (Congress Family)। অভিযোগ তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে ঘর ছাড়া ওই পরিবার গুলির শিশু ও মহিলা-সহ ২৬ জন সদস্য।


ঘরছাড়াদের দাবি, তাঁরা কংগ্রেসের সমর্থক। মাসখানেক আগে তারা এলাকায় কংগ্রেসের পতাকা লাগিয়েছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের মারধর করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় পাঁচ জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। একজন গ্রেপ্তার হন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হুমকির জেরে সেই সময় থেকেই ঘর ছাড়া পরিবারের সদস্যরা। এমনকি জামিন পেয়েও বাড়ি ফিরতে পারেননি তাঁরা।


পরিবারের মহিলা ও শিশুরা বাড়ি ফিরতে পারলেও বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না পুরুষ সদস্যরা। প্রশাসনের কাছে বারংবার আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বকরি ঈদের আগে ঘরে ফেরানোর দাবি জানিয়ে আজ কৃষ্ণনগর ২ ব্লকের বিডিওর দারস্থ হন ঘরছাড়ারা। তাঁদের ঘরে ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। ঘরছাড়াদের দাবি, যদি প্রশাসন তাঁদের ঘরে ফেরাতে ব্যর্থ হন তাহলে বিডিও অফিসেই থাকবেন তাঁরা। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল (TMC)।


প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের পরে ভোট পরবর্তী হিংসাকাণ্ডে এমনই অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির তরফে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ একাধিক জেলার বিজেপি কর্মীরা ঘরছাড়া হয়েছিল। তাঁদের বাড়িতেও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। সেসয় অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি, উত্তরবঙ্গে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, 'যেখানে ভোট-অশান্তি সেখানেই যাব।' সন্ত্রস্ত এলাকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে চান রাজ্যপাল। 'সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলেও বেছে বেছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই', প্রশাসনকে নিশানা করে ফের বললেন রাজ্যপাল।


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ? 


রাজ্যপাল সম্প্রতি আরও বলেছিলেন,' আমি তাঁকে মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগ করেছিলাম। মানুষের রক্তপাত নিয়ে দরাদরি করা যায় না। হিংসাকে যেকোনও মূল্যে নির্মূল করতে হবে। গণতন্ত্রে হিংসার কোনও জায়গা নেই। হিংসা কোনও অবস্থাতেই কাম্য নয়, কিন্তু হিংসা হচ্ছে। মানুষের রক্তের প্রতি বিন্দুর দায় নিতে হবে কমিশনারকে। যে কোনও পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।'