ওড়িশা : করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express Derailed) ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর শিরোনামে উঠে এসেছিল অখ্যাত স্কুলটি। অস্থায়ী মর্গ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল বাহানাগা বাজার স্টেশনের পাশের বাহানাগা হাইস্কুলকে (Bahanaga High School)। ছোট শিশুদের কলতানে মুখরিত হওয়ার বদলে ক্লাসরুমগুলো ভরে ভরে ছিল সাদা কাপড় চাপা দেওয়া সারি সারি লাশের স্তূপ। সেই স্কুলটিকেই ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হল। পুলিশের উপস্থিতিতে স্কুলবাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
লাশের স্তূপের সারি সাজানোর ভয়াবহ দৃশ্যের কথা মনে করে শিশুমনে যাতে কোনও বিরূপ প্রভাব না পড়ে সেই জন্যই ১৯৫৮ সালে স্থাপিত স্কুলটিকে ভেঙে ফেলার ভাবনাই নিয়েছিলেন স্থানীয়রা। স্থানীয় প্রশাসনও এলাকাবাসীর যে ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করে। স্কুল কর্তৃপক্ষও যে ভাবনায় সায় দেয়। তারপর রীতিমতো পুরোহিত স্কুলের এলাকায় পুজোপাঠ করানোর পর শুরু হয় স্কুলটি ভেঙে ফেলার কাজ।
স্কুলটি ভেঙে ফেলার পর কোথায় নতুন স্কুলবাড়ি তৈরি হবে বা পড়ুয়া কোথায় পড়বেন, তা এখনও নিশ্চিত না হলেও সেই কাজ-ভাবনা চলছে। এই মুহূর্তে ওড়িশার স্কুলগুলিতে চলছে গরমের ছুটি। ১৯ জুন থেকে যেখানে স্কুল খোলার কথা। তাই মাঝে হাতে কয়েকটা দিন সময় পাওয়া যাবে স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য নতুন স্কুলভবন তৈরি করার জন্য।
গত ২ জুন সন্ধেবেলা ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। বাহানাগা স্টেশনের কাছে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে মালগাড়িতে ধাক্কা ও সঙ্গে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসকেও লাইনচ্যুত করেছিল ট্রেনটি। একাধিক কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল। দুমড়ে মুচড়ে দেশলাই বাক্সের মতো উল্টে-পাল্টে গিয়েছিল কামরাগুলি। যে দুর্ঘটনায় প্রায় ৩০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে। হাজারের বেশি আহত। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুন- ফিরল ট্রেন-আতঙ্কের আবহ, পুরী-দুর্গ এক্সপ্রেসের এসি কোচে আগুন
এদিকে, বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর, এবার সমস্ত স্টেশন ম্য়ানেজার, সেকশন কন্ট্রোলার ও পয়েন্টসম্য়ানদের কাউন্সেলিং করার পরিকল্পনা। বাহানাগা বাজারে ট্রেন দুর্ঘটনার পর, রেলের কর্মীদের অতিরিক্ত কাজের প্রসঙ্গ উঠে আসে। অভিযোগ ওঠে, কর্মী কম থাকায় চাপ বাড়ছে অন্যদের। এই অবস্থায় নিয়ম করে কাউন্সেলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।