কলকাতা: পঞ্চায়েতে দিন বদলের প্রস্তাব আদালতের। ১৫ জুন থেকে ২১ জুন হোক মনোনয়ন পেশ, ২৩ জুন সকুটিনি, ২৬ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহার ও ১৪ জুলাই হোক নির্বাচন। প্রাথমিক প্রস্তাব আদালতের। দিন বদলের প্রস্তাব আদালতের। আদালত নির্দেশ দিলে মনোনয়ন জমার সময়সীমা ১৬ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়াতে প্রস্তুত, জানাল কমিশন। দিনে ৪ ঘণ্টা পর্যাপ্ত নয়, মন্তব্য আদালতের। ৫ পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে, জানাল কমিশন।
প্রধান বিচারপতির এজলাসে রিপোর্ট পেশ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। '১৫ জুন মনোনয়ন পেশের দিন শুরু, ২১ জুন মনোনয়নের শেষ দিন, ২৩ জুন স্ক্রুটিনি এবং ২৬ জুন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন', প্রাথমিক প্রস্তাব আদালতের। '১৪ জুলাই নির্বাচন করা হোক', প্রাথমিক প্রস্তাব আদালতের।'আদালত নির্দেশ দিলে ১৬ ই জুন পর্যন্ত মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়াতে প্রস্তুত কমিশন', আদালতে জানালেন কমিশনের আইনজীবী।'আগেও আমরা ৭ দিনের সময়সীমা দিয়ে নির্বাচন করেছি, তখন সমস্যা হয়নি', আদালতে সওয়াল কমিশনের আইনজীবীর।'৭ দিনের বেশি সময় মনোনয়ন পেশের জন্য দেওয়া যাবে না এরকম কোন আইন আছে ?', কমিশনকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।
'না, এরকম কোনও আইন নেই', উত্তরে আদালতে জানাল কমিশন। 'তাহলে, যদি মনোনয়ন পেশের দিন একদিন বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে সব তারিখই একদিন করে পিছিয়ে দিতে হবে, তাইতো ?' কমিশনকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।'একদিন পিছিয়ে দিলে কোথাও কোনও সমস্যা হবে না, কিন্তু তার বেশি পিছোলে নির্ধারিত সূচিতে পরিবর্তন করতে হবে', সওয়াল কমিশনের। 'শুক্রবারই বিজ্ঞপ্তি জারি হল, আবার শুক্রবারই মনোনয়ন গ্রহণ শুরু হল', এতে তো প্রশাসনও প্রস্তুতির পর্যাপ্ত সময় পাবে না', মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। 'প্রার্থীদের সম্পত্তির খতিয়ান, কোনও ফৌজদারি মামলা আছে কিনা সেটা জানাতেও তো প্রার্থীদের সময় লাগবে', মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
'কমিশন একটি পর্যাপ্ত ও গ্রহণযোগ্য সময়সূচি জমা দিক', পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির। '৯ ই জুন বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, ফলে ৯ই জুনকে মনোনয়ন পেশের দিন সংখ্যা থেকে বাদ রাখতে হবে', মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।'বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে মনোনয়ন পত্র পাওয়া যায়নি, গন্ডগোল হয়েছে। যদি ওয়েবসাইটে মনোনয়ন থাকত তাহলে সেখান থেকেই প্রার্থীরা ডাউনলোড করে নিতে পারতেন', মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।'প্রার্থীদের কাছ থেকে যে যে তথ্য চাওয়া হয় তা জমা দিতে নিশ্চিতভাবে সময় লাগবে', মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।